সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর স্লোগান’ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর)। কিন্তু আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানান ইমরান এইচ সরকার।
এ আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত।
মামলার অন্য আসামি গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া সনাতন উল্লাস আদালতে হাজির ছিলেন।
ইমরানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট প্রকাশ বিশ্বাস।
মামলার বাদী গোলাম রব্বানী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ইমরানের সঙ্গে সনাতনের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন একই আদালত। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তারা।
গত ৩১ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী সিএমএম আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা আমলে নিয়ে ১৬ জুলাই আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত। ওইদিন আত্মসমর্পণ করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাসুদ জামানের আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন ইমরান-সনাতন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে গত ২৮ মে রাতে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের মশাল মিছিলে ‘ছি ছি হাসিনা, লজ্জায় বাঁচি না’, ‘বাংলাদেশ হারেনি, হেরে গেছে হাসিনা’ স্লোগান দেওয়া হয়। এ স্লোগানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে যে কটূক্তি করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তিনি ক্ষুব্ধ ও তার মানহানি হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে মুখপাত্রের দায়িত্বে আছেন ইমরান এইচ সরকার। অন্য আসামি সনাতন মালো উল্লাস বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংগঠক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এমআই/এএসআর