বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, তিনদিন আগে ওই এলাকার ছুরাব আলীর কাছ থেকে একই এলাকার নবীন মিয়া বাকিতে মাছ কেনেন। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ছুরাব আলী তার কাছে পাওনা টাকা চান। এসময় নবীন টাকা না দেয়ায় দু’জনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ছুরাব আলীসহ ১৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয় মুরুব্বিরা বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে নারীসহ শতাধিক লোক আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
লুকড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার রাতে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মঙ্গলবার সালিশের দিন ধার্য্য করা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এই ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। এখনও অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এসআই