বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফলে দীর্ঘ ৬ বছরের অপেক্ষা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে পুরোপুরি খুলে গেল তিনভাগে নির্মিত ৮ দশমিক ২৫ কিলোমিটারের এ ফ্লাইওভারটি।
ভিডিও কনফারেন্সে রাখা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলেই ঢাকা শহরে গাড়ি বেশি নামছে। এ জন্যই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই যানজট নিরসনের জন্যই এই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। এর আগেও আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিলো তখনও দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছিলো।
শিগগিরই রাজধানীর যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ লক্ষ্যে নেয়া সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন তার বক্তব্যে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের আমলেই রাজধানীর যানজট নিরসনে সবচেয়ে বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। খুব শিগগিরই ঢাকার ইস্টার্ন বাইপাস নির্মাণ করা হবে। এদিকে ফ্লাইওভারের উদ্বোধন উপলক্ষে মৌচাক মোড়ে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী মঞ্চের। সেখানে সকাল থেকেই জড়ো হন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ফ্লাইওভারের উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবনে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী মঞ্চের। সেই মঞ্চ থেকেই ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় মঞ্চে ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
উল্লেখ্য, রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর ও তেজগাঁওয়ের যানজট নিরসন ও এই এলাকায় অবাধ যান চলাচল নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পটি গ্রহণ করে সরকার। পরে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছিলেন।
এর পরে ধাপে ধাপে নকশা পরিবর্তন ও নির্মাণ ব্যয় বাড়তে থাকে এ প্রকল্পের। প্রথমে ২০১৪ সালের মধ্যে এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় ধাপে ধাপে মেয়াদও বাড়তে থাকে প্রকল্পের। সবশেষে সম্পূর্ণরূপে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হলো এ ফ্লাইওভার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এসএ/এসআইজে/আরআই
*দুপুরেই খুলছে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার