ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

'বিমানবন্দরে এক কর্মচারীর সহায়তায় স্বর্ণের চালান'

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
'বিমানবন্দরে এক কর্মচারীর সহায়তায় স্বর্ণের চালান' সংবাদ সম্মেলনে ডিবির উপ কমিশনার (ডিসি, উত্তর) শেখ নাজমুল আলম, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্যাটারিং শাখায় কর্মরত মীর হোসেনের সহায়তায় স্বর্ণের চোরাচালান বাইরে বের হয়ে আসে। ইতোপূর্বে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে বেশ কয়েকটি চালান তিনি বের করে দিতে সক্ষম হয়েছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে প্রায় সাড়ে নয় কেজি স্বর্ণের চালান বের করার আনার পর বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকায় মীর হোসেনসহ তিনজনকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটক অপর দু'জন হলেন, ফারুক আহম্মেদ ও শাহিন।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবির উপ কমিশনার (ডিসি, উত্তর) শেখ নাজমুল আলম। স্বর্ণ

তিনি বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে আমাদের কাছে খবর ছিলো স্বর্ণের একটি বড় চালান বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার গেট দিয়ে বের হয়ে যাবে। ডিবির সদস্যরা বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান করলে রাত সাড়ে দশটার দিকে একটি প্রাইভেটকার আসে। প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করলে চারটি স্কেলের বার থেকে মোট ৮০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। প্রায় সাড়ে নয় কেজি ওজনের উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি টাকা।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত এবং এ প্রথমবার তারা কারো হাতে ধরা পড়লো।

দুবাই থেকে আসা রিজেন্স এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আসা ওই চালানের মধ্যে ফারুকের কিছু স্বর্ণ রয়েছে। মীর হোসেন বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণ বের করে দিতে সহায়তা করে আর শাহিন গাড়ির ড্রাইভার।

স্বর্ণগুলোর প্রকৃত গন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়িটি নিয়ে তারা কাওলার দিকে যাচ্ছিল বলে জানায়, সেখান থেকে অন্য কেউ স্বর্ণগুলো গ্রহণ করতো। প্রকৃত গন্তব্য সম্পর্কে তারা কেউ জানাতে পারেননি। অাটক ৩জনতাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে কিন্তু মোবাইলে এ বিষয়ক কোনো কথোপকথন পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটের মাধ্যমে তারা এ সংক্রান্ত যোগাযোগ করতো।

কাস্টমসসহ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পেরিয়ে কিভাবে স্বর্ণগুলো বের হয়ে আসল এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল ইসলাম বলেন, কারো কাছে ধরা খাবে না এমন তথ্যই আমাদের কাছে ছিলো। আমরা বহুবার আহ্বান জানিয়েছি, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা কাজ করি। কিন্তু সাড়া না পেলে সেটা কষ্টকর।

ইতোপূর্বে ১০৫ কেজি স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত নজরুল ইসলাম জামিনে বের হয়ে আবার এ কাজে যুক্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নজরুল ইসলাম মাত্র দুই মাস জেল খেটে জামিন নিয়ে দুবাই চলে যান। তিনি আবার এই ব্যবসা শুরু করেছেন এবং মঙ্গলবার রাতে আটক চালানে তার নাম পেয়েছি।

এছাড়া এ চক্রের বিভিন্ন ধাপে বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছি, তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।