এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন বরিশালের উপ-পরিচালক সোহেল সরদার বাদী হয়ে মুলাদী থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ঘটনায় জড়িত সবুজ ও মহসিন নামে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর চর শফিপুর গ্রামের সমিতির হাট এলাকায় মোবাইল চুরির অভিযোগে ওই শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়।
ওইসময় নির্যাতনের দৃশ্যটি সেখানে উপস্থিত কেউ একজন মোবাইলফোনের ক্যামেরায় ধারণা করেন। ভিডিওতে বিভিন্ন বয়সের ২৫/৩০ জন মানুষের উপস্থিতিতে জনৈক ব্যক্তি শিশুটিকে পেটাচ্ছে ও শিশুটি চিৎকার করছে বলে দেখা যায়।
ভিডিওটি বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন বরিশালের উপ-পরিচালকের হাতে পৌঁছালে তিনি বরিশালের পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করেন।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম খবর পেয়ে মুলাদী থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে রাতেই সবুজ ও মহসিন নামে দু’জনকে আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় সোহেল সরদার আজ একটি মামলা করেছেন। অপরদিকে থানা পুলিশ ইতোমধ্যে দু’জনকে আটক করেছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, শাওন চর শফিপুরের নানাবাড়িতে এসেছিল। মোবাইল চুরির অভিযোগে তাকে স্থানীয় কিছু লোক নির্মম নির্যাতন করে। তার বাবা নেই। মা ঢাকায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন।
ওসি এ বিষয়ে জানান, মূলত নির্যাতনের শিকার শিশুটির নানি মর্জিনার খোঁজ তারা পেয়েছেন, নির্যাতিত শিশুর সন্ধানও চালাচ্ছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই শিশুটিকে খুঁজে বের করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এমএস/এএ