বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মাধ্যমে খুলে দেয়া হলো বহুল প্রতীক্ষিত ফ্লাইওভারটি। এসময় এ তথ্য জানানো হয়।
তিনস্তরের এ ফ্লাইওভারটি চার লেনের। ফ্লাইওভারে ১৫ স্থানে ওঠানামার ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলো হলো- তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বাংলামটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এবং শান্তিনগর মোড়। এটি রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়। প্রতিটি পিলার প্রায় ৪০ মিটার গভীরে গাঁথা হয়েছে।
ফ্লাইওভারের প্রথম অংশ ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ (হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা) যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় ইস্কাটন-মৌচাক অংশ।
তৃতীয় ধাপে গত ১৭ মে ফ্লাইওভারের এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় নয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়। যখন শুরু হয়েছিল মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। নকশায় ত্রুটি ও ভুলের পর কয়েক ধাপে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যয় বেড়ে হয় এক হাজার ১৩৫ কোটি টাকা।
তিন ভাগে হয়েছে ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ। একটি অংশ রয়েছে সাতরাস্তা থেকে মগবাজার হয়ে হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশ শান্তিনগর থেকে মালিবাগ হয়ে রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামটর থেকে মগবাজার হয়ে মৌচাক পর্যন্ত।
রামপুরা থেকে মৌচাক হয়ে শান্তিনগর ও রাজারবাগ অংশটি দুই ভাগে বিভক্ত। এর একটি অংশ তিন তলা, যা রামপুরা থেকে মৌচাক হয়ে একটি র্যাম্প শান্তিনগর গিয়ে শেষ হয়েছে। অন্যটি গিয়ে নেমেছে রাজারবাগে। আর দুইতলা অংশটিও বাংলামোটর থেকে মগবাজার, মৌচাক হয়ে দুই র্যাম্পে বিভক্ত হয়েছে। এর একটি মৌচাক, মালিবাগ হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের কাছে শেষ হয়েছে। আরেকটি মালিবাগ থেকে শান্তিনগর গিয়ে শেষ হয়েছে।
মৌচাক ও মালিবাগ দুই মোড়েই ফ্লাইওভারের ওপরে তিন রাস্তার মোড় রয়েছে। আবার শান্তিনগর থেকে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে রাজারবাগের দিকে যেতে হলেও তিন রাস্তার মোড়ে পড়তে হবে। এ দুই মোড়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে ১১টি সিগন্যাল বাতি বসেছে। এর মধ্যে মালিবাগ মোড়ে ছয়টি ও মৌচাক মোড়ে পাঁচটি বাতি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এসএ/জেডএম