ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
খুলনায় ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতি খুলনায় ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতি/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনায় তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালিত করেছে বিভাগীয় ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

দাবিগুলো হচ্ছে- রাস্তা-ঘাট সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করা, ট্যাংকরির সামনে থাকা বাম্পার অপসরণ না করা ও হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করে সংগঠনটি।

খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা করেন মালিক ও শ্রমিকরা।

কর্মবিরতি চলাকালে খুলনার তিনটি জ্বালানি তেল ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে তেল উত্তোলন, পরিবহন, বিক্রয় ও বিপণন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যানবাহন চালকদের। পরবর্তীতে কর্মবিরতি শেষে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন কাজ শুরু হলে তা স্বাভাবিক হয়।

কর্মবিরতি চলাকালে খালিশপুরস্থ খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের চত্বরে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নূর ইসলাম।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস, বিভাগীয় ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরহাদ হোসেন, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি কাউন্সিলর সুলতাম মাহমুদ পিন্টু, শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, খুলনা বিভাগ ও বৃহত্তর ফরিদপুরসহ ৫ জেলার রাস্তাঘাটের বেহালদশার কারণে জ্বালানি তেল পরিবহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তার এমন অবস্থা দেখেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে এসব সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া ট্যাংকলরির বাম্পার অপসারণের নির্দেশনা বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে ধর্মঘটসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করীম কাবুল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান চাই বলেই দীর্ঘদিন কোনো কর্মসূচি দেইনি। বিভাগের বিভিন্ন সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ সংস্কারের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা উদাসিন। বিশেষ করে নওয়াপাড়া থেকে যশোর, যশোর থেকে নড়াইল, মাগুরা, বেনাপোল এসব রাস্তার বেহালদশা। এসব ভাঙা-চোরা রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকরা (চালক) ট্যাংকলরি চলাচল করছে। রাস্তার এমতাবস্থায় আমাদের পক্ষে জ্বালানি তেলের বিপণন ও পরিবহন চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।