বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে উভয় দেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ মহড়া শেষ হয়।
যৌথ মহড়ায় বিজিবির ২০ সদস্যের পক্ষে নেতৃত্বে দেন রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন জলপাইগুড়ি সেক্টর ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বিশান সিংহ পাতিল।
দু’দিনের যৌথ বিশেষ ‘ধরলা মৈত্রী’ মহড়া শেষে ভারতের কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চেংরাবান্ধা বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে আয়োজিত বিজিবি-বিএসএফের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন-বিজিবির পক্ষে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও বিএসএফের পক্ষে জলপাইগুড়ি সেক্টর ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বিশাল সিংহ পাতিল।
বিজিবি-বিএসএফের সংবাদ সম্মেলন শেষে যৌথ মহড়া ‘ধরলা মৈত্রী’ সম্পর্কে দু’দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কর্মকর্তারা।
বিজিবি-বিএসএফ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা জানান, বিজিবি-বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে বুড়িমারী-চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত অঞ্চলে সুরক্ষিত আধুনিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বাস্তবায়ন, আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী গাড়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সীমান্ত পিলার রক্ষণাবেক্ষণ, মানুষ হত্যা-চোরাচালান বন্ধ ও মানবপাচার রোধকল্পে যৌথ টহল জোরদারসহ বিজিবি-বিএসএফের আরও গতিশীল সম্পর্ক উন্নয়নে ফুটবল-ভলিবলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর সীমান্ত এলাকায় প্রথম এ যৌথ মহড়া অনুশীলন করা হয়। সুরক্ষিত আধুনিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় বিজিবি-বিএসএফের যৌথ মহড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এরই আলোকে বুড়িমারী-চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর সীমান্ত অঞ্চলেও ‘ধরলা মৈত্রী’ নামে বিশেষ যৌথ মহড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সীমান্তে সম্প্রসারণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
আরবি/