বৃহস্পতিবার ( ২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চত করেন। ইউসুফ চৌধুরীর বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া।
তিনি জানান, দুপুরে দুবাই থেকে দুবাই এয়ারলাইন্সের এফজে ৫৮৩ ফ্লাইট শাহাজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রী স্বর্ণ চোরাচালান করছেন তথ্য থাকায় শুল্ক গোয়েন্দা যাত্রীকে নজরদারিতে রাখে। কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি কোনোভাবেই তার কাছে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করছিলেন না। কিন্তু তার কাছে স্বর্ণ আছে মর্মে নিশ্চিত তথ্য থাকায় শুল্ক গোয়েন্দা তার সঙ্গে থাকা লাগেজ দু’টি ভালোভাবে পরীক্ষা করেন। যাত্রীর শরীর ও ব্যাগে থাকা জিনিসপত্র তন্নতন্ন করে পরীক্ষায় করে কিছুই পাওয়া যায়নি। অবশেষে তার সঙ্গে থাকা দু’টি লাগেজ খালি করে লাগেজ স্ক্যানিং মেশিনে কয়েকবার স্ক্যান করা হয়। এক পর্যায়ে ব্যাগের মধ্যে স্বর্ণের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
মইনুল জানান, পরে বিমানবন্দরে কর্মরত অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে যাত্রীর লাগেজ দু’টির হ্যান্ডেল ভেঙে ভেতর থেকে ৯ পিস স্বর্ণপাত জব্দ করা হয়। জব্দ হওয়া স্বর্ণপাতের ওজন ২৩০ গ্রাম। যাত্রীর সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কারের ওজন আরও ১০০ গ্রাম। স্বর্ণের সর্বমোট ওজন ৩৩০ গ্রাম। জব্দ হওয়া স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা।
পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়, চলতি বছরে তিনি ৬ বার দুবাই ভ্রমণ করেছেন। তবে প্রতিবার স্বর্ণ বহন করেছিলেন কিনা তা জানার জন্য পৃথক তদন্ত চলছে। আটক ইউসুফকে চোরাচালানের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এসজে/জিপি