ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নিজ দায়িত্বে বহাল থাকছেন এসপি সুভাষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
নিজ দায়িত্বে বহাল থাকছেন এসপি সুভাষ

ঢাকা: আয়কর নথিতে অর্থ গোপন রাখার অভিযোগে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাষ চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্তে যাচ্ছে না পুলিশ সদর দফতর। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজ দায়িত্বেই বহাল থাকছেন তিনি।

এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা (৪৪) ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীর (৪৩) ওয়ান ব্যাংকের যৌথ অ্যাকাউন্টে ১৯টি এফডিআর হিসেবে ৮ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকার খোঁজ পায় দুদক। আর ওই অর্থের উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন রাখায় এসপি দম্পতির বিরুদ্ধে ‍মামলাটি করা হয়।


 
দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ মঙ্গলবার ( ২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বংশাল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি (মামলা নং- ৩৭) দায়ের করেন।
 
পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলছে, এসপি সুভাষের বিরুদ্ধে যেহেতু মামলা হয়েছে, সেহেতু মামলার নিয়মে মামলা চলবে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতেই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। কারণ, যে কারো বিরুদ্ধে যে কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবে পুলিশ সদর দফতর।
 
পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণের পর আবার আপিলের বিষয় থাকে। তিনি যদি আপিল করেন, তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিজ দায়িত্বে কর্মরত থাকবেন।
 
পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সহেলী ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্তে যাচ্ছি না। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত করার মতো সিদ্ধান্তের বিষয় আসবে’।
 
তদন্তের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই নিয়মানুসারে এসপি সুভাষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
 
দুদকের এ মামলা দায়েরের আগের দিন সোমবার (২৩ অক্টোবর) সুভাষ চন্দ্র সাহাকে ফরিদপুর থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
 
সুভাস চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলার অনুমোদন দেয় দুদক।
 
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সুভাস চন্দ্র সাহা পুলিশ বিভাগে চাকরি করাকালে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ওয়ান ব্যাংকের রাজধানীর বংশাল শাখা, এলিফ্যান্ট রোড শাখা ও যশোর শাখায় তার ও স্ত্রীর নামে যৌথ অ্যাকাউন্টে এফডিআর হিসাবে পাওয়া গেছে। ২০১৩ সালের ২৬ মে থেকে গত ২২ মে এফডিআরগুলো খোলেন সুভাষ চন্দ্র সাহ‍া। মোট ১৯টি এফডিআর হিসাবে জমাকৃত ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বিপরীতে সুদসহ বর্তমানে টাকার পরিমাণ ৮ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকা।
 
তবে তাদের যৌথ এফডিআরের মধ্যে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ পর্যন্ত অর্জিত এফডিআরগুলোর স্থিতি ও তা অর্জনের উৎসের বিষয়টি ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ পর্যন্ত দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করেননি তারা। অর্থাৎ সুভাষ চন্দ্র সাহা পুলিশ বিভাগে চাকরিকালে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত  ৮ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকার উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করেছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
পিএম/এএসআর
** কী হতে পারে এসপি সুভাষ ও তার সম্পদের

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।