সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই মহাসড়কে যানজট নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। এই দু’দিন মহাসড়ক মানেই চরম ভোগান্তির স্থান।
এছাড়া দাউদকান্দি ও মেঘনা টোলপ্লাজায় টোল আদায় ধীর গতির হওয়ায় যানজট লাগার আরেকটি মূল কারণ। অনেক সময় টোলপ্লাজায়
অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে গিয়ে টোল আদায়কারীদের সঙ্গে চালক-হেলপারদের কথা কাটাকাটাকাটিতে যানজট দীর্ঘ হয়।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। মহাসড়কের কুমিল্লার ৯৬ কি. মি. অংশের মধ্যে দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকায় ২ কি. মি. যানজট রয়েছে। তবে গোমতী সেতু থেকে মেঘনা সেতু, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও সোনারগাঁও এলাকা হয়ে কাচঁপুর ব্রিজ পর্যন্ত যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওই সড়কের প্রায় ৩০ কি. মি. অংশে যানবাহন আটকে আছে। আর যাত্রীদের ভোগান্তি রয়েছে গেছে। ওই ৩০ কি. মি. অংশ অতিক্রম করতে প্রায় ৫/৬ ঘণ্টা সময় লাগছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পুনরায় কুমিল্লা পুরো অংশে যানজট শুরু হতে পারে।
গজারিয়া এলাকায় যানজটে আটকে থাকা এশিয়া পরিবহনের যাত্রী সহকারী অধ্যাপক শাহ আলম জানান, ৫ ঘণ্টা ধরে যানজটে পড়ে আছি। গাড়ি একটুও নড়ছে না। অসহনীয় যানজট।
ঢাকা ইপিজেড কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসতে ৭ ঘণ্টা লেগেছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মূল যানজট মেঘনা সেতু, গজারিয়া, কাচঁপুরে । সেখানে কোনো গাড়িই পাঠাতে পারছি না। যার ফলে কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে ২ কি. মি. যানজট রয়েছে। মেঘনা সেতু-গজারিয়াতে যানজট হ্রাস না পেলে কুমিল্লার অংশে যানজট বাড়তে পারে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দাউদকান্দি ও মেঘনা সেতুতে টোল আদায়ে ধীর গতিই এই কৃত্রিম যানজট সৃষ্টির জন্য দায়ী। তাই গোমতী ও মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে ধীর গতি, অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ করতে না পারলে মানুষের
ভোগান্তি লাঘব সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
বিএস