তিনি আদালতে গিয়ে এমন কিছু বক্তব্য রেখেছেন যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টেবার) আদালতে দেওয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসম্মানজনক ও অপমানজনকভাবে আদালতে নেওয়া হয়েছিল। অথচ সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধাসহ বাড়ি বরাদ্দ করে সাব-জেল তৈরি করে সেখানে নেওয়া হয়। অথচ খালেদা জিয়া আদালতে বলেন শেখ হাসিনা লাকি, তাকে কখনো আদালতে যেতে হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ত্রাণ দেওয়ার নামে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মহাসড়কে যাওয়া-আসার সময় রাস্তায় সভা করে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ত্রাণের নাম করে তিনদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অচল করে রাখবেন। এতে ত্রাণ সরবরাহের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি মানবিক হলেও তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক।
এসময় খালেদা জিয়ার উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শত শত মানুষকে তিনি পুড়িয়ে মেরেছেন। তাদের কান্নার রোল এখনো বাংলার আকাশে ভেসে আসছে। এখন তিনি আদালতে গিয়ে জনগণের কাছে মায়া কান্না দেখিয়ে তথাকথিত সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ