শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে লোকজ নৃত্য ও বাদ্য উৎসবে এমন মোহনীয় ও মন মাতানো নাচের তালে বিমোহিত হতে দেখা গেছে হাজারও দর্শককে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) তিন দিনব্যাপী এ লোকজ নৃত্য ও বাদ্য উৎসব শুরু হয়।
আবহমান বাংলার লোকজ এ উৎসবের ডিজিটাল সাউন্ড বক্সে একে একে বেজে উঠছে নাচের গান। নৃত্যশিল্পীদের নাচের তালে তালে আর বর্ণিল আলোর ঝলকানিতে নেচেছেন দর্শকরাও। দর্শকদের এত বেশি উপস্থিতি যে খুলনার সবচেয়ে বড় পার্ক হাদিস পার্কের এ মাঠে তিল পরিমাণ জায়গা ছিলো না।
উদ্বোধনী দিনের প্রধান অতিথি খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান দ্বিতীয় দিনে দর্শক হিসেবে নৃত্যানুষ্ঠান উপভোগ করেন।
নৃত্যানুষ্ঠানে ভারত, ঢাকা ও খুলনার স্থানীয় শিল্পীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শিল্পীরা একক ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপ আঁকা নানান পোশাকে নৃত্য শিল্পীরা আপন মহিমায় তুলে ধরেন তাদের পরিবেশনা।
নাচের পর আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এবং বিভাগীয় প্রধান (সংগীত) কামরুল ইসলাম বাবলু। পরিচালনা করেন আব্বাস উদ্দিন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নৃত্যবিহারের প্রধান নির্বাহী এনামুল হক বাচ্চু।
উৎসবের শেষ দিন বিকেল ৫টায় ছোটদের নৃত্যানৃষ্ঠান। সন্ধ্যা আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন খুলনা সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মোস্তাক সেলিম পপলু। নৃত্যানুষ্ঠানে ভারত, ঢাকা ও খুলনার স্থানীয় শিল্পীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করবেন।
আব্বাস উদ্দিন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নৃত্যবিহারের প্রধান নির্বাহী এনামুল হক বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নৃত্য উপাদানগুলো থেকে বাছাই করে নাচ উপস্থাপন করা হচ্ছে এ উৎসবে।
তিনি বলেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী লুপ্ত প্রায় লোকজ সাংস্কৃতির মধ্য হতে নৃত্যের ধারা গুলোকে উদ্ধার করে, তাকে নিয়মিত শিল্পীদের দ্বারা চর্চার মাধ্যমে এর মৌলিকতাকে অক্ষুন্ন রাখতে আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
এমআরএম/ওএইচ/