ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মারা গেলেন শজিমেকে চিকিৎসাধীন সেই মা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
মারা গেলেন শজিমেকে চিকিৎসাধীন সেই মা স্বজনদের আহাজারি-ছবি-বাংলানিউজ

বগুড়া: জয়পুরহাট থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন মাহেলা বেওয়া (৭৫)। মায়ের চিকিৎসার খোঁজ নিতে এসে ছেলে গাজিউর রহমান ও তার ছেলে নাতি রোম্মান হোসেন শান্ত শজিমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেধড়ক মারপিটের শিকার হয়ে আহত হন। অবশেষে মারা গেলেন মাহেলা বেওয়া।

এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে মারপিটে আহত ছেলে ও নাতিকে শজিমেক থেকে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তারা জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন।


 
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজনীন বাংলানিউজকে তাদের ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
 
আহত রোম্মান হোসেন শান্তর নানা সুলতান গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে অভিযোগ করেন, মায়ের সামনে ছেলে ও নাতিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ব্যাপকভাবে মারপিট করেছে।  

এতে অসুস্থ মাহেলা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকেও অনেকটা জোরপূর্বক ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানতৈল গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার পথে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের শিবগঞ্জ এলাকায় দুপুরের পর মারা যান তিনি। পরে আসরের নামাজ পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
 
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক নির্মলেন্দু চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, মাহেলাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। বরং তার স্বজনরা নিজেদের ইচ্ছায় তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান। এক্ষেত্রে স্বজনদের পক্ষ থেকে ডিসচার্জ অন রিকুয়েস্ট (ডিওআরবি) লিখে দিয়ে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে তারা রোগীকে নিয়ে যান।
 
তিনি আরও জানান, মাহেলা শ্বাসকষ্ট, কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দিনগত রাত পৌনে ৯টার দিকে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী ওয়ার্ডে ঢুকে নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উত্যক্ত করেন। এসময় রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন তার ছেলে ও নাতিকে মারপিট করে বের করে দেয়।
 
এ ঘটনার পর দিনগত রাত ৯টার দিকে মাহেলাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরের আগ পর্যন্ত সেখানে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার চিকিৎসার কোন ক্রুটি করা হয়নি। তাকে জোরপূর্বক ছাড়পত্র দিয়ে বের করেও দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
 
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দিনগত রাত পৌনে ৯টার দিকে শজিমেকের মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মাহেলার ছেলে গাজিউর রহমান ও তার ছেলে নাতি মো. শান্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে বেধড়ক মারপিটের শিকার হন। তারা জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানতৈল গ্রামের বাসিন্দা।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর
 
 
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।