শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কার্যালয়ে এ বর্ণাঢ্য র্যলি ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুরু করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে শ্রমিক নেতারা বলেন, আমরা সবাই মানুষ, সবাই দেশের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
তবে আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয় হলো আজ আমাদের দেশের তৈরি পোশাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ব্যবহার করে থাকে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিল্প পুলিশ শ্রমিক এবং কারখানা মালিকদের মাঝে চমৎকার এক সেতুবন্ধনের কাজ করে চলেছে। সকলেই চোখকান খোলা রাখতে হবে যাতে করে শ্রমিক নামধারী কেউ যেন আমাদের শিল্পের ক্ষতি করতে না পারে। যে কোনো সমস্যা সমাধানে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সমধান করা যেতে পারে। শহীদের রক্তে অর্জিত দেশকে আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে নিয়ে যাবো।
বিনা কারণে পুলিশের কোনো সদস্য যেন শ্রমিকদের শরীরে কোনো প্রকার টোকাও না দেয়। দুর্ঘটনা যে কোনো সময়ে ঘটতেই পারে। তাই এর জন্য কোনো ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করা চলবে না।
শ্রমিকদের মাঠে নামতে হবে না। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে মজুরি বোর্ড গঠন করে কাজ করা হবে। আমরা নিজেরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে পদ্মা সেতুর মতো আরো অনেক পদ্মা সেতু আমাদের নিজ দেশের অর্থায়নে করতে সক্ষম হবো।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মো. নওশের আলী, পিপিএম, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজি), ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ। এছাড়াও বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম মান্নান কচি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-১ এর পরিচালক সানা শামীনুর রহমানসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
বিএস