শনিবার সকালে ফ্লাইওভারের নিচে সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়কে গাড়ির চাপ অনেক কম দেখা গেছে। তবে মগবাজার মোড় ঘিরে যানজট দেখা যায়।
ফ্লাইওভারের নিচে মৌচাক মোড়ে কোন জট চোখে পড়েনি। তবে নিচের রাস্তা এখনো সংস্কার না করায় খাদে পড়তে হচ্ছে গাড়িগুলোকে। রিকশাওয়ালাদের জন্য পোহাতে হচ্ছে বড় সমস্যা।
মগবাজার ওয়ারলেস মোড়ের ব্যবসায়ী অাবদুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, এই ফ্লাইওভার চালুর চেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়েছে। যে যন্ত্রণায় আমরা ছিলাম তা শেষ হয়েছে। অাশা করি যানজট কমবে। তবে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ভাল না। পুরো তিনতলা ফ্লাইওভারে জ্যাম হয়ে ছিল।
সিদ্ধেশ্বরীর পান সিগারেট বিক্রেতা রশিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার প্রথম দিন খুব যানজট হয়। তবে শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিন তেমন জট নেই। শুক্রবার বিকেলে অনেকেই ঘুরতে অাসেন। অাজও অাসছেন। রোববার কর্মদিবস থেকে বোঝা যাবে কি অবস্থা হয়। তবে নিচের যানজট কমবে বলেই অাশা করি।
এদিকে ফ্লাইওভারের সিদ্ধেশ্বরী এবং বেইলি রোড লুপের মাথায় জট দেখা যায়। বাসগুলো লুপে ওঠা এবং নামার পথে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। ফলে সেখানে গতি স্লথ হয়ে যাচ্ছে এবং জট বাঁধছে।
কাকরাইল লুপে ওঠার সময় দীর্ঘ জট দেখা যায়। মূলত বাসগুলো গতি কমিয়ে দেয়া এবং পথে রিকশার কারণে জট হচ্ছে বলে জানা যায়।
৬ নং বাসের চালক সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, রিকশার কারণে চলা যাচ্ছে না। মূল সড়ক থেকে রিকশা না সরালে এই জট যাবে না। আর যাত্রীদের চাহিদার জন্যই লুপের মাথায় গাড়ি থামাতে হচ্ছে।
এদিকে ফ্লাইওভারের ওপরে যে সিগন্যালগুলো রয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে মানার জন্য প্রতি মোড়ে দুই জন করে ট্রাফিক কর্মী দেখা গেছে। মৌচাক মোড়ের ওপর যে লুপটি শান্তিনগর নেমে গেছে সেখানে অাজাহার নামে একজন ট্রাফিক কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। লাল বাতি জ্বলে থাকার সময়ও একজন গাড়ির চালক অবাধ্য হচ্ছিলেন। অাজহার তাকে বিরত করেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাতি সিগন্যাল মানলেই আর ওপরে জট হবে না। সিগন্যাল না মেনে চলতে চাইলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।
বেইলি রোডে পথচারী তাহের বলেন, এখনই এই নতুন ফ্লাইওভারের সুবিধা বিশ্লেষণ করা যাবে না। সময় নিতে হবে। কয়েকদিন গেলে বোঝা যাবে কতটুকু উপকার হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এমএন/জেডএম