ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন ফ্লাইওভার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
নতুন ফ্লাইওভার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শনিবার সকালে ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা। ছবি: মাজেদুল নয়ন

ঢাকা: পুরোদমে চালু হয়েছে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার। সাতরাস্তা মোড় থেকে কোনো গাড়ি উঠলে নির্বিঘ্নে নেমে যেতে পারছে শান্তিনগর বা রামপুরা সড়কে। তবে ফ্লাইওভার কতটুকু কার্যকর হয়েছে তা নিয়ে মতামতে পৌঁছুতে অারো সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

শনিবার সকালে ফ্লাইওভারের নিচে সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়কে গাড়ির চাপ অনেক কম দেখা গেছে। তবে মগবাজার মোড় ঘিরে যানজট দেখা যায়।

এ ছাড়াও সেলিনা পারভীন সড়কে দুপাশে যাতায়াতের জন্য যে ফাঁকাগুলো রাখা হয়েছে সেগুলোতে গাড়ির ইউটার্নের জন্যও জটের সৃষ্টি হয়েছে।

ফ্লাইওভারের নিচে মৌচাক মোড়ে কোন জট চোখে পড়েনি। তবে নিচের রাস্তা এখনো সংস্কার না করায় খাদে পড়তে হচ্ছে গাড়িগুলোকে। রিকশাওয়ালাদের জন্য পোহাতে হচ্ছে বড় সমস্যা।

মগবাজার ওয়ারলেস মোড়ের ব্যবসায়ী অাবদুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, এই ফ্লাইওভার চালুর চেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়েছে। যে যন্ত্রণায় আমরা ছিলাম তা শেষ হয়েছে। অাশা করি যানজট কমবে। তবে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ভাল না। পুরো তিনতলা ফ্লাইওভারে জ্যাম হয়ে ছিল।

শনিবার সকালে ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা।  ছবি: মাজেদুল নয়ন সিদ্ধেশ্বরীর পান সিগারেট বিক্রেতা রশিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার প্রথম দিন খুব যানজট হয়। তবে শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিন তেমন জট নেই। শুক্রবার বিকেলে অনেকেই ঘুরতে অাসেন। অাজও অাসছেন। রোববার কর্মদিবস থেকে বোঝা যাবে কি অবস্থা হয়। তবে নিচের যানজট কমবে বলেই অাশা করি।

এদিকে ফ্লাইওভারের সিদ্ধেশ্বরী এবং বেইলি রোড লুপের মাথায় জট দেখা যায়। বাসগুলো লুপে ওঠা এবং নামার পথে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। ফলে সেখানে গতি স্লথ হয়ে যাচ্ছে এবং জট বাঁধছে।

কাকরাইল লুপে ওঠার সময় দীর্ঘ জট দেখা যায়। মূলত বাসগুলো গতি কমিয়ে দেয়া এবং পথে রিকশার কারণে জট হচ্ছে বলে জানা যায়।

৬ নং বাসের চালক সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, রিকশার কারণে চলা যাচ্ছে না। মূল সড়ক থেকে রিকশা না সরালে এই জট যাবে না। আর যাত্রীদের চাহিদার জন্যই লুপের মাথায় গাড়ি থামাতে হচ্ছে।

শনিবার সকালে ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা।  ছবি: মাজেদুল নয়ন এদিকে ফ্লাইওভারের ওপরে যে সিগন্যালগুলো রয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে মানার জন্য প্রতি মোড়ে দুই জন করে ট্রাফিক কর্মী দেখা গেছে। মৌচাক মোড়ের ওপর যে লুপটি শান্তিনগর নেমে গেছে সেখানে অাজাহার নামে একজন ট্রাফিক কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। লাল বাতি জ্বলে থাকার সময়ও একজন গাড়ির চালক অবাধ্য হচ্ছিলেন। অাজহার তাকে বিরত করেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাতি সিগন্যাল মানলেই আর ওপরে জট হবে না। সিগন্যাল না মেনে চলতে চাইলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।

বেইলি রোডে পথচারী তাহের বলেন, এখনই এই নতুন ফ্লাইওভারের সুবিধা বিশ্লেষণ করা যাবে না। সময় নিতে হবে। কয়েকদিন গেলে বোঝা যাবে কতটুকু উপকার হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এমএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।