ঢাকা, সোমবার, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘দেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
‘দেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই’ ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সব সময়ই জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে আসছে। তাই এ দেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই’।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইন্স স্কুল মাঠে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র‌্যাব মহাপরিচালক এ কথা বলেন।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। কেবল বাংলাদেশই নয়, গোটা বিশ্বই এখন জঙ্গিবাদে আক্রান্ত। এরপরও জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠী জঙ্গিবাদকে যুগে যুগে এখানে ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছে’।

‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জঙ্গিবাদকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন। গুলশানের হলি আর্টিজনে হামলা ও তার পরবর্তী দেশব্যাপী জঙ্গি তৎপড়তাগুলো ছিল সর্বশেষ চেষ্টা। এর মধ্যে দিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী ও বর্হিবিশ্ব মনে করেছিল এবার বুঝি বাংলাদেশ এ জঙ্গিবাদের গ্যাঁড়াকল থেকে আর কোনোভাবেই বের হতে পারবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা এবং আপনাদের মতো সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আজ বাংলাদেশ থেকে আমরা জঙ্গিবাদ প্রায় নির্মূলের পথে রয়েছি’।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা অপরাধ মুক্ত সমাজ চাই, আমরা অপরাধ মুক্ত রাষ্ট্র চাই। যে রাষ্ট্রের যে কোনো স্থানে রাত বা দিন, যে কোনো সময় একজন নারী বাইরে বের হলে নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারে। একটি শিশু যেন দেশের যে কোনো প্রান্তে গিয়ে মাঠে-ঘাটে বসেও নিরাপদ বোধ করতে পারে। এ নিরাপদ বোধই হলো আমাদের লক্ষ্যমাত্রা। আর এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে কেবল পুলিশ বা রাষ্ট্র একা নয় প্রতিটি সাধারণ নাগরিককেই এগিয়ে আসতে হবে। তাই আপনারা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা’।
‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা/ছবি:  বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম‘কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা যেমন প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছাতে চাই। তেমনি আপনাদেরও দায়িত্ব হচ্ছে সমাজবোধ নিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করা। আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত একটি আত্মসম্মান সম্পন্ন জাতি ও দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাই। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের অপরাধ, অন্যায় ও সন্ত্রাসবাদকে আমরা সমূলে ধ্বংস করতে চাই। আমরা এ কমিউনিটি পুলিশিংয়ে ১৬ কোটি মানুষের সহযোগিতা চাই’।

সমাবেশে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, সাবেক ভিসি ও রাজশাহী কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহীর সাবেক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহা. হবিবুর রহমান, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির ও র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম। এছাড়া আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

এরআগে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের আয়োজনে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা চত্বর এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আরএমপি পুলিশ লাইন্স স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।