ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রূপালি ইলিশের দামে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতা

শরীফ সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
রূপালি ইলিশের দামে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতা ইলিশ যাচাই করছেন ক্রেতা দম্পতি

রাজশাহী: রাজশাহীর বাজারে আবারও স্বরূপে ফিরেছে রূপালি ইলিশ। টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর গত সপ্তাহ থেকে ফের ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে রাজশাহীর পদ্মায়। তবে ক্রেতাদের কাছে বরিশালের ইলিশের চাহিদা বেশি। তাই রাজশাহীর বাজারে বরিশালের ইলিশের দাম একটু বেশি। কিন্তু তাতে কী, সুস্বাদু ইলিশের দাম রয়েছে ক্রেতাদের হাতের নাগালেই।

রাজশাহীর সাহেব বাজারে মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর রাজশাহীর পদ্মা নদীতে আবারও ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ভোরে গোদাগাড়ীর রেলবাজার মোকাম হয়ে সেই মাছ ঢুকছে শহরের বিভিন্ন আড়তে।

পরে চলে আসছে বাজারে।  

তিনি বলেন, রাজশাহীর বাজারে পদ্মার চেয়ে মেঘনার ইলিশেরই কদর বেশি। তবে পদ্মার ইলিশ বাজারে থাকায় মেঘনার ইলিশের দাম বাড়তে পারেনি। যারা মাছ চেনেন তারা স্বাদের ইলিশটাই কিনছেন।  

জয়নাল হোসেন নামের অপর ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রেলবাজার, মহিশালবাড়ী, ডাইংপাড়া, সারাংপুর, ভগবন্তপুর ও রেলগেটসহ অন্য মোকামগুলোতে এখন পদ্মার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ থেকে ৬শ’ টাকা পর্যন্ত (সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ গ্রাম ওজনের)।  

রাজশাহীর সাহেব বাজার ও নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বাজারে ৫শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫শ’ টাকা কেজি, ৬শ’ থেকে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮শ’ টাকা, আর ৯শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি বা সোয়া কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে উঠেছে বড় সাইজের ইলিশমাছ কিনতে আসা শেখ ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে ২২ দিন বাজার বা আড়তে ইলিশ পাওয়া যায়নি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ইলিশে ভরপুর হয়ে গেছে বাজার। দামও অন্য সময়ের তুলনায় কম। তাই সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সরকারের এমন উদ্যোগের কারণে গত বছর থেকে ইলিশের উৎপাদন ও সরবরাহ বেড়েছে বলে জানান এই ক্রেতা।   

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে বলেন, জাটকা সংরক্ষণ করা গেলে আগামী বছর ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে। তাই মৎস্য বিভাগের নিষিদ্ধ সময় ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা (১০ ইঞ্চির নিচের সাইজের ইলিশ) ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে।  

ডিম ছাড়ার সময় ইলিশ ও জাটকা না ধরলে উৎপাদন কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। সাধারণত ডিম ছাড়ার সময় রূপালি ইলিশ মিঠা পানিতে চলে আসে। পরে জীবনচক্রে রেণু, জাটকা ও বয়সপ্রাপ্ত হলে ইলিশ গভীর পানিতে চলে যায়। এজন্য ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরা হয়। এই সময় ইলিশ ধরা ও বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।