বন্দিদের থাকার ৩টি ভবনই জরাজীর্ণ হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। কারা হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্স সংকটে চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন বন্দি রোগীরা।
কারা সূত্র জানায়, শহরের চরনোয়াবাদের পুলিশ লাইন্স এলাকায় স্থাপিত জেলা কারাগারের ১০০ বন্দির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু গত বুধবার (২৫ অক্টোবর) বন্দি ছিলেন ১১ জন নারীসহ ৬৭০ জন, যাদের ৫০০ জন হাজতি ও ১৭০ জন কয়েদি।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দিদের অনেক গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এর ওপরে ভবনগুলো পুরনো। ১০ বেডের কারা হাসপাতালে একজনও চিকিৎসক-নার্স নেই। তবে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে জরুরি ডাক্তার ও নার্স আনতে হয়।
বন্দিদের মধ্যে মাদক ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি সবচেয়ে বেশি। সাম্প্রতিক ইলিশ অভিযানের সময় গ্রেফতার হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত ১৮০ জন জেলেও রয়েছেন।
ভোলা জেলা কারাগারের জেলার মাসুদ হাসান জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, ‘বন্দিদের বাসস্থান সংকটের বিষয়টি প্রতি মাসেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভবনের জরাজীর্ণতা ও অবকাঠামোর সমস্যার কথাও জানানো হয়েছে। নার্স-চিকিৎসক সংকটে বন্দি রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়েও হিমশিম খেতে হয়’।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এএসআর