ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন ফ্লাইওভারে নিরাপত্তায় ৩০ প্রহরী

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
নতুন ফ্লাইওভারে নিরাপত্তায় ৩০ প্রহরী মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে নিরাপত্তার ৩০ প্রহরী- ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: যানজট নিরসনে সম্প্রতি সম্পূর্ণভাবে উদ্বোধন হওয়া মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন সাফা সিকিউরিটি কোম্পানির ৩০ নিরাপত্তা প্রহরী। উদ্বোধনের পর থেকে রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা টানা ফ্লাইওভারে নিরাপত্তার কাজ করছেন এ প্রহরীরা।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের দু’টি সিগন্যালে যানজট নিরসনে কোনো ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়নি।
 
ফ্লাইওভারে মালিবাগ সিগন্যাল মোড়ে কথা হয় প্রহরী সোবহানের (৩৫) সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রাত ৮ থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ফ্লাইওভারে দায়িত্ব পালন করি। বেতন ৯ হাজার টাকা।
 
তিনি বলেন, অধিকাংশ চালকরা সিগন্যাল মানেন না। তখন আমাদেরকে হাত দিয়ে সিগন্যাল দেখাতে হয়। কারণ তারা সিগন্যাল ভালোভাবে দেখেন না। অনেক চালক এখনো সিগন্যাল সম্পর্কে বোঝেও না। তখন আমরা কোন সিগন্যালে কোন দিকে যেতে হবে সেটা দেখিয়ে দেই।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে নিরাপত্তার ৩০ প্রহরী- ছবি: শোয়েব মিথুন
মগবাজার সিগন্যালে নিরাপত্তা প্রহরী জয়নাল ( ৪০) বাংলানিউজকে বলেন, ফ্লাইওভারে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য দায়িত্ব পালন করে থাকি। এছাড়া সিগন্যালে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও রাত ১০টার পর প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা থাকেন না। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদেরকেই এর সমাধান করতে হচ্ছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

এদিকে যানজট নিরসনের সুবিধা পেতে করা হয় ফ্লাইওভার। অথচ যানজট নিরসনের স্বস্তির জায়গায় মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের মৌচাকে ১টি ও মগবাজার অংশে ১টি মোট দু’টি সিগন্যাল বসানো হয়েছে। যেখানে সিগন্যাল বাতিতে সময় দেওয়া হয়েছে ৩০ সেকেন্ট। ফলে যানজট নিরসনের চেয়ে এই ফ্লাইওভারটিতে যানজট আরও বেশি বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবহারকারীরা।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে নিরাপত্তার ৩০ প্রহরী- ছবি: শোয়েব মিথুন
২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আট দশমিক ৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন। এরআগে ২০১৬ সালে মগবাজার- মৌচাক ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হয়। একই বছর খুলে দেয়া হয় ইস্কাটন মৌচাক অংশটি। পরে চলতি বছর তৃতীয় ধাপে এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটিও যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
 
জানা যায়, ২০১১ সালে দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে এই ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এরপর কয়েক ধাপে তা বেড়ে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়।

বাংলাদেম সময়: ০৬৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯,২০১৭
এসজে/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।