রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সংবাদসম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
মায়া বলেন, ইতোমধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
রোহিঙ্গারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য সরকার তৎপর জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব রোহিঙ্গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাদের সবাইকে কক্সবাজার কুতুপালং ক্যাম্পে আনা হচ্ছে। সেখানে পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে আমরা রোহিঙ্গাদের খাদ্য সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি। তাদের খাদ্যের কোনো অভাব নেই। এখন সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ হচ্ছে।
নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ছয় লাখের উপরে রোহিঙ্গা এসেছে। এতো বড় বোঝা বহন করতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। তবুও মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আমাদের সহযোগিতা করছে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে সবার নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
মায়া বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পাঁচ লাখ মানুষের খাদ্য দিচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে এক থেকে দেড় লাখ লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করছি। খাদ্যের কোনো সমস্যা নেই। খাদ্য একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল সেটি সমাধান হয়েছে। এখন রোহিঙ্গাদের অনেকে জমানো খাদ্য বিক্রি করছে খবর পেয়েছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, থাকার জন্য দেড় লাখ ঘর দরকার। ইতোমধ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ঘর হয়ে গেছে। নভেম্বরের মধ্যে বাকিগুলো করা হবে। তবে সব মিলিয়ে আমরা দুই লাখ ঘর করবো। স্যানিটেশন ব্যবস্থার জন্য টয়লেট, বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল, বিদ্যুৎ ও রাস্তার কাজ চলছে। এদিকে ২৪ হাজার এতিম শিশু আছে, এরমধ্যে চার হাজার শিশুর একেবারেই কেউ নেই। তাদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেখাশোনা করছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে আইন-শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজের সঙ্গে জড়িয়ে না পাড়ে সেজন্য পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত হলে তাকে ছাড়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭/আপডেট ১৬৫০ ঘণ্টা
এসকে/আরআইএস/আইএ