ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

খালেদা জিয়া ত্রাণ দেয়ার নামে নাটক করতে কক্সবাজার গেছেন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
খালেদা জিয়া ত্রাণ দেয়ার নামে নাটক করতে কক্সবাজার গেছেন খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদ্যস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান

গোপালগঞ্জ: খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণের নামে নাটক সৃষ্টি করতে কক্সবাজার গেছেন। সেখানে তিনি কী পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন তা আমরা জানি না। তবে আদালতে গিয়ে তিনি কী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন তা আপনারা জানেন।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে ‘বাংলাদেশ খাদ্য আইন, ২০১৩ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা’-শীর্ষক কর্মশালায় উদ্বোধক হিসেবে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২৪২ ধারায় খালেদা জিয়ার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।

আদালতে খালেদা জিয়া তার জবানবন্দি না দিয়ে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়েছেন। আর এ কাজ করে তিনি আদালতের অনুকম্পা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আদালত কাউকে অনুকম্পা দিতে পারেন না।  

আমরা জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। আর মানুষের মৌলিক অধিকার নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত আমরা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যোগ করেন মন্ত্রী।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদ্যস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাঙালি জাতিকে পিছিয়ে দিতে বিএনপি-জামায়াত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণকে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করেছেন। তাই তিনি রোড শো করে ত্রাণ বিতরণ করতে কক্সবাজার যাচ্ছেন।  

ফারুক খান আরো বলেন, খালেদা জিয়া যদি সত্যিকার অর্থেই ত্রাণ বিতরণ করতে যেতেন, তাহলে ঢাকা থেকে প্লেনে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করে আসতেন। কিন্তু তিনি তা না করে বিরাট বড় গাড়ি বহর নিয়ে যাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি করেছেন। তিনি হয়তো একশ’ লোককে ত্রাণ দিবেন, কিন্তু ১০ লাখ লোকের ত্রাণ বিতরণ ব্যাহত করবেন।  

আমি তারপরও তাকে স্বাগত জানাই। রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আড়াই মাস লন্ডনে ঘুমানোর পর তার ঘুম ভেঙেছে। একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে তার আরো আগে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া উচিত ছিলো, যোগ করেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক ও এফ এ ও এর প্রতিনিধি এ কে এম নুরুল আফসার।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে  অন্যান্যের মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রফেসর ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন বক্তব্য রাখেন।  

দিনব্যাপী কর্মশালায় সরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, খাদ্য ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির-পেশার মানুষ অংশ নেন।  

এর আগে ‘বাংলাদেশ খাদ্য আইন, ২০১৩ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা’ সৃষ্টি করতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিশু একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।