আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মাসে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ২২ বার পিছিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ অক্টোবর আদালত এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ নভেম্বর দিন ধার্য্য করেছেন।
এদিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, খুনিরা শনাক্ত হলেও সবাইকে গ্রেফতার করতে না পারায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় লাগছে। তবে শিগগিরই এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় দফায় দফায় পেছানোর কারণে হতাশা প্রকাশ করেছে দীপনের পরিবার।
দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান জলি বলেন, দুই বছরেও দীপন হত্যার বিচার হয়নি। এ নিয়ে ২২ বার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে।
তিনি বলেন, দীপনের হত্যা কেন হয়েছিল সেই অন্ধকার পরিবেশ কাটিয়ে তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাই। আগামী প্রজন্ম যেন মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে যেতে পারে তার জন্য কাজ করে যেতে চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দীপন হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হযেছে। তারা তিনজনই হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও বেশকিছু আসামির নাম আমরা পেয়েছি। সেগুলো ছদ্ম নাম হলেও শনাক্ত করে বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর বিকালে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় প্রকাশক দীপনের স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য মাঈনুল হাসান শামীম, আব্দুস সামাদ ওরফে আব্দুস সবুর ও খায়রুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হত্যার ঘটনায় আসামি শামীম ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সবুরকেও কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
একই দিন বিকালে রাজধানীর লালমাটিয়ায় একটি প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে এর কর্ণধার আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এসজেএ/জেডএম