ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

৩৭তম বিসিএসের ফল প্রকাশে ত্রুটির অভিযোগ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
৩৭তম বিসিএসের ফল প্রকাশে ত্রুটির অভিযোগ!

ঢাকা: ৩৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত আছেন। ৩৬তম বিসিএসে পদ স্বল্পতায় পেয়েছেন নন-ক্যাডার। আর ৩৭তম বিসিএসে দিয়েছেন জীবনের সেরা পরীক্ষা। কিন্তু সেই লিখিত পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাননি। তার কাছে ব্যাপারটি অকল্পনীয়। কেননা তার দাবি, এবার জীবনের সেরা পরীক্ষাটিই দিয়েছেন তিনি।

এই পরীক্ষার্থীর মতো সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অন্তত ২/৩টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও ৩৭তম বিসিএসে পাস করতে পারেননি। ফল আসেনি তাদের।

এমন কয়েকশ’ চাকরিপ্রার্থী ধর্না দিচ্ছেন পিএসসিতে। তাদের অভিযোগ, কারিগরি ত্রুটির কারণেই তাদের অনুত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে।

ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের দাবিতে পিএসসিতে লিখিত আবেদন করেছেন এসব প্রার্থী। তবে আশ্বস্ত হতে পারছেন না তারা।

পিএসসি বলছে, ফলাফলে কোনো ভুল হয়নি। অভিযোগ না করে পরীক্ষার্থীদের বরং আরো ভালোভাবে পরীক্ষা দেওয়া উচিত।

গত ২৫ অক্টোবর ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। যাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৯ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ১ হাজার ২২৬ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেবে সরকার।

খুব ভালোভাবে লিখিত পরীক্ষা দিয়েও আশানুরূপ ফল না পেয়ে ক্ষুব্ধ-হতাশ এসব প্রার্থীর অনেকেরই অভিযোগ, কারিগরি ত্রুটিসহ বিভিন্ন ত্রুটি ঘটেছে পল দেবার ক্ষেত্রে। যেমন, সঠিকভাবে ডাটা ইনপুট না করা, সফটওয়ারের ত্রুটি, এক কেন্দ্রের ফল অন্য কেন্দ্রের প্রার্থীদের দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

৩৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে ক্যাডার পদে চাকরিরত ৩৭তম বিসিএসের একজন প্রার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ফলা প্রকাশের পরপরই কমিশনে গিয়ে প্রতিবাদ জানানোর ঘটনা পিএসসির ইতিহাসে একেবারেই নেই।

চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ওই প্রার্থী বলেন, এমন অন্তত ১০ জনের রোল নম্বর তিনি দিতে পারবেন যারা ফেল করার মতো পরীক্ষা মোটেই দেননি।

এসব প্রার্থী রোববার (২৯ অক্টোবর) পিএসসি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ. ই. ম. নেছার উদ্দিনের কাছে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জানিয়েছেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বোর্ড সভায় তাদের আবেদনের বিষয়টি তুলবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে তার কথায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না প্রার্থীরা।

এর আগে ৩৪তম বিসিএসের ফলাফলে ভুলের কারণে পুনঃনিরীক্ষায় আরো ১১শ’ জন ক্যাডার পেয়েছেন উল্লেখ করে প্রার্থীরা কমিশনের কাছে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বাংলানিউজকে বলেন, অনেক চেকিং করে ফল প্রকাশ করা হয়। এসব অভিযোগ না করে পরীক্ষা আরো ভালো করে দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, এটা প্রিলিমিনারির ফল নয় যে ডাটা ইনপুট করতে ভুল হবে। পিএসসির সদস্য এবং অফিসার এসব কাজ দেখভাল করেন। লিখিত পরীক্ষায় এমন ভুল হওয়ার কথা নয়। কাউকে বঞ্চিত করা আমাদের ‍উদ্দেশ্য নয়।

অনেকে আগের বিসিএসের ক্যাডার পেয়েও এবার অনেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণই হননি-- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, সবার সব পরীক্ষা সমান হয় না।

এই বিসিএসে তার নিজেরই পরিবারের একজন ফেল করেছেন বলেও দাবি করেন পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক।

বাংলাদেশ সময়:২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এমআইএইচ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।