১০ বছরের অধিক সময় ধরে গেটগুলো বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও মেরামতের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। এতে বছরের পর বছর কষ্টার্জিত ফসল ঠিকমত ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা।
সরেজমিন দেখা যায়, চারদিকে নদী ও সাগর বেষ্টিত মনপুরা উপজেলাকে ভাঙন ও জোয়ারের পানি থেকে রক্ষায় ৮৯ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। ওই বাঁধের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিলো ১২টি স্লুইস গেট। কিন্তু ওইসব স্লুইস গেটের মধ্যে ১০টি বর্তমানে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। জরাজীর্ণ স্লুইস এবং কপাটসহ অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে যাওয়ায় সামান্য জোয়ারের পানিতে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এতে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
কৃষক সোহাগ, সাহাবুদ্দিন ও সোহেল বাংলানিউজকে জানান, স্লুইস গেট অতি প্রয়োজনীয়। কিন্তু তা অকেজো থাকায় কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে। কৃষকরা ঠিকমত চাষাবাদ করতে পারেনা। কারণ স্লুইস গেটের কাপাটগুলো ভেঙে যাওয়ায় পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে ফসলী জমি। আবার যখন পানি দরকার হয় তখনও সমস্যার সৃষ্টি হয়। গেট মেরামত কিংবা নতুন করে নির্মাণের জন্য দাবী জানিয়ে আসলেও আজো তা বাস্তবায়ন হয়নি।
মনপুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার চৌধুরীর বাংলানিউজকে বলেন, স্লুইস গেট সমস্যার কারণে ফসলহানি হচ্ছে এছাড়া মাছ ভেসে যাচ্ছে। তাই দ্রুত মেরামত এবং নতুন করে স্লুইস গেট নির্মাণের দরকার।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী কাইছার আলম বাংলানিউজকে বলেন, ১২টি স্লুইস গেটের মধ্যে ১০ আংশিক অকোজো যার কারণে পানি ঢুকে বের হয়না, আবার বের হতে চায়না। তবে আমরা গেট নির্মাণের জন্য প্রস্তবনা পাঠিয়েছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ আসেনি।
মনপুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, সমগ্র উপজেলায় প্রতি বছর ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ধান, ডাল, বাদাম ও সবজিসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। কিন্তু স্লুইস গেট সমস্যার কারণে প্রতি বছরই চার হাজার হেক্টর জমির ফসলের উৎপাদান নষ্ট হয়। তাই দ্রুত স্লুইস গেট নির্মাণ জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এনটি