সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার নারী সার্জারি ওয়ার্ডে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, চিকিৎসকরা নারী সার্জারি ওয়ার্ডে রাউন্ডে প্রবেশ করার মুহূর্তে রোগীর সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত লোকজনদের বাহিরে যেতে বলেন।
ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনে সাধারণ সম্পাদক ডা. নাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, মহিলা ওয়ারর্ডটিতে এক সঙ্গে ৪টি ইউনিটের রোগী রয়েছে। রোগীর এতো চাপ যে ফ্লোরেও রোগীদের থাকতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চিকিৎসকরা নিয়মিত রাউন্ডে রোগী দেখতে গেলে নির্ধারিত স্বজন ছাড়া অতিরিক্ত লোকদের ওয়ার্ড থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী রোগীদের অতিরিক্ত স্বজনদের বের করে দিতে চাইলে স্থানীয় পরিচয়ে কয়েক যুবক উগ্র আচরণ শুরু করে এবং ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে।
এ সময় এক যুবক চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালাতে উদ্যত হলে ইন্টার্নরা এর প্রতিবাদ জানায় এবং ধাওয়া দেয়। উপায় না দেখে যুবকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে ধরে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আটক হওয়া যুবকের মায়ের শারীরিক অবস্থার দিক বিবেচনা করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
আটক হওয়া যুবক নগরের সিঅ্যন্ডবি ১ নম্বর পুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আ. রহিম বাংলানিউজকে বলেন, ওই ওয়ার্ডে তার মা লাইজু বেগম (৫০) কেমো দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দুপুরে ঘটনার সময় অপর এক অপরিচিত যুবক চিকিৎসকদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে যায়। কিন্তু পরে যখন চিকিৎসকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তখন তারা ওই যুবককে না পেয়ে আমাকে ধরে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এদিকে বর্তমানে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এমএস/জিপি