সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
গাফর আলী সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের কাউয়াপেচি গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ২০১১ সালের ২৬ আগস্ট বিকেলে গাফর আলী ও তার লোকজন পার্শ্ববর্তী কুড়ালিয়াকান্দা মসজিদের জায়গা বেদখল করতে যান। ওই সময় স্থানীয় আবেদ আলীর ছেলে কামরান হোসেন কাপাসু, রেজাউল ইসলাম ও ওহাব আলীসহ কয়েকজন তাদের বাধা দেন। একপর্যায়ে গাফর ও তার সঙ্গীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কামরান ও রেজাউলকে কুপিয়ে আহত করেন। ওই ঘটনায় কামরানের ভাই ওহাব আলী বাদী হয়ে গাফর আলীসহ ১২ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট কামরান মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়। তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ ডিসেম্বর শেরপুর ডিবি পুলিশের ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এসআই