ঢাকা, সোমবার, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আরইউজে সভাপতিকে হত্যাচেষ্টা, সাংবাদিকদের মানববন্ধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
আরইউজে সভাপতিকে হত্যাচেষ্টা, সাংবাদিকদের মানববন্ধন আরইউজে সভাপতিকে হত্যাচেষ্টা, সাংবাদিকদের মানববন্ধন। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি কাজী শাহেদকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ধাওয়া ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর অলোকার মোড় এলাকায় তাকে ধাওয়া করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহীর সাংবাদিকরা।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে আরইউজে। এতে রাজশাহীর সাংবাদিকরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

তারা হামলাকারীর কঠোর শাস্তি দাবি করেন। পাশাপাশি এ ঘটনার নেপথ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান।

আরইউজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান খান আলমের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে রাজশাহীর শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামানিক দেবু, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, আরইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিবলী নোমান, মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম বাবু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে, রোববার রাতের ওই ঘটনায় এসএম আবদুল কাজিম ওরফে বাবু (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন সাংবাদিক কাজী শাহেদ।  

সকালে গ্রেফতার দেখিয়ে বাবুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার বাবু নিজেকে অপ্রচলিত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শহরে নানান অপকর্ম করে বেড়ান বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।  

বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি নিউজটোয়েন্টিফোর ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিক কাজী শাহেদ জানান, ঘটনার সময় তিনি অলোকার মোড় থেকে তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় পেছন থেকে পিস্তল হাতে নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করেন বাবু ও তার এক সহযোগী।

বিষয়টি টের পেয়ে শাহেদ তার বাড়ির কাছে গিয়ে মহানগর পুলিশের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। এরপর পুলিশ গিয়ে বাবুকে আটক করে। তবে তার সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে শাহেদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এসএস/আরআইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।