মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে আসামি তিনজন অব্যাহতির আবেদন করলে তিনি তা মঞ্জুর করেন।
কর্মকর্তারা হলেন, উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এ টি জি এম গোলাম ফিরোজ, সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি এবং সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার আশরাফুল আলম।
বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই দুর্নীতির মাধ্যমে ৩৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুল করিম ২০১৩ সালের অক্টোবরে একটি মামলা করেন।
ওই তিন কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত রেজিস্টার শাহজাহান আলী মন্ডলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলির মিয়াকে মামলায় আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১৯ মার্চ সাবেক উপাচার্য আব্দুল জলিল মিয়াসহ ওই চার কর্মকর্তাকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র পাঠায় দুদক।
পরে গত ২০ জুলাই মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে বিশেষ জজ আদালত সাবেক উপাচার্য আব্দুল জলিল মিয়া ও শাহজাহান মন্ডলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ২০ আগস্ট তারা জামিনে মুক্তি পান।
এদিকে ১৭ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওইদিন ওই তিন কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫(গ) ধারায় অব্যাহতির আবেদন করেন।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) শুনানি শেষে আসামিদের মামলার থেকে অব্যাহতি দিয়ে তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুল জলিল মিয়া ও অতিরিক্ত রেজিস্টার শাহজাহান আলী মন্ডলকে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্ত করেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এমজেএফ