মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের দেওজান সমাজ কল্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করে। তারা দুই বোন দেওজান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
মানববন্ধনে পাথরাইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আরফান মিয়া, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মীর আনিছুর রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুন্নাহার হক, প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, স্কুলছাত্রী রাখী, শবনম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জানা গেছে, ১৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাত ৯টায় দেওজান গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শরিফ মিয়া (৩০), চিনাখোলা গ্রামের দারোগ আলীর ছেলে শাপচান মিয়া (৩৫), ইয়াছিন মিয়ার ছেলে জব্বার মিয়া (৩০) ও ইমান আলীর ছেলে মোশারফ মিয়া (৩২) দেলদুয়ার উপজেলার চিনাখোলা গ্রামে ওই দুই বোনের ঘরে ঢুকে তাদের কুপ্রস্তাব দেন । এতে দুই বোন অস্বীকৃতি জানালে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন বখাটেরা। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ২৭ হাজার ৬০০ টাকা হাতিয়ে নিলেও ভিডিওটি বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেন তারা। এ ঘটনায় দুই বোনের মা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে দেলদুয়ার থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার বাদী বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত শরিফ নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য ও র্যাবের সোর্স হিসেবে পরিচয় দেন। তার নেতৃত্বে শাপচান, জব্বার ও মোশারফ মিলে তার দুই মেয়েকে শ্লীলতাহানী করেছে।
ইউপি সদস্য মীর আনিছুর রহমান ও মো. আরফান আলী বাংলানিউজকে জানান, তারা ওই ভিডিওটি দেখেছেন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
টিএ
