মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন রতনপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ খান।
আদালতের বিচারক শাম্মি আকতার মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ নভেম্বর দিন ধার্য্য করেছেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- কাজীরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার ও এসআই লুৎফর রহমান। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৩-৪ জন কনস্টেবলের নাম রাখা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর রাত ৩টায় বিবাদীরা আব্দুর রশিদ খানের বাড়িতে গিয়ে দরজা নক করে। এ সময় ভেতর থেকে পরিচয় জানতে চাইলে কোনো জবাব না দেওয়ায় পরিবারের লোকজন ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। এতে পরিস্থিতি সামলাতে নিজেদের পরিচয় দিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে। এরপর ঘরের মালামাল তছনছ করে বিছানার নিচ থেকে সুপারি বিক্রির ১২ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
একই সঙ্গে ঘরের কর্তা আব্দুর রশিদ খানের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবি করা টাকা দেওয়া না হলে রশিদ খানকে মাদক দিয়ে চালান দেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
পরে টাকা না দেওয়ায় রশিদ খানকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তার ছেলেরা যদি স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ায় তবে তাদের ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয় বিবাদী ওসি মাসুম তালুকদার।
এদিকে মামলার বিষয়ে কাজিরহাট থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, ‘দায়ের করা মামলার বাদীর ছেলেদের মাদকসহ আটক করায় এবং ওই মামলায় পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ায় বাদী আব্দুর রশিদকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে মামলায় তাকে আসামি করায় আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে’।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এমএস/জিপি