মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, জিয়াউর রহমানকে জেনারেল ওসমানি সেনাবাহিনী থেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিলেন, করলে ভালো হতো।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় কোনো অপারেশনে অংশ নেন নি। তার যে অপারেশনগুলো সব কর্নেল তাহেরের করা। জিয়া যদি অারো ক্ষমতায় থাকার সময় পেতেন তাহলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করে ফেলতেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর দুটি ভুল হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানি মতাদর্শে বিশ্বাসী সেনা সদস্যদের সেনাবাহিনীতে রাখা ভুল হয়েছে। তারাই পরে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। দ্বিতীয় ভুল হলো- বাংলাদেশে জাসদের সৃষ্টি। জাসদের মাধ্যমে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করেছেন কর্নেল তাহের, মেজর জলিল, সিরাজুল আলম খান। এরা ছিলেন বিদেশি চর।
তিনি আরো বলেন, খালেদ মোশাররফ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধ করেছিলেন। জাতি হিসেবে তার অবদান অামাদের স্মরণ করা উচিত। তাকে মানবরূপী পশুরা হত্যা করেছে। ইতিহাস ধ্বংস করার জন্য। তার মতো বীরদের হত্যাকারীরা অনেক বড় শক্তিশালী ছিলো। এজন্য তাদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে আমরা বেরুতে পারি নাই। মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়েছি।
মূল বক্তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু সরকারের অধীনে যুদ্ধ করতে অস্বীকার করেছেন। তিনি শুধু ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন, মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯ মাসে বাংলাদেশের কোনো ভূখণ্ডে তিনি একদিনের জন্যও পা রাখেন নি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন নি।
মেজর খালেদ মোশাররফ স্মৃতি পরিষদ অায়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের সহধর্মিনী সালমা খালেদ।
এতে অারো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) শচীন কর্মকার, খালেদ মোশাররফের মেয়ে সংসদ সদস্য মাহজাবীন খালেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
এমসি/জেডএম