সোমবার (৬ নভেম্বর) কমলাপুর রেলওয়ে থানার ডোম ঘর থেকে ৫ জনকে ডোমকে আটক করে নিয়ে যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি পুলিশ)। এরপর থেকেই কমলাপুর রেলওয়ে থানার আওতাধীন গাজীপুর, টাঙ্গাইল (যমুনা সেতুর পূর্ব পর্যন্ত) ও নারায়ণগঞ্জে রেললাইনে সংঘটিত দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ নিয়ে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) এসএম রকিবুল হক জানান, রেলওয়ে কতৃপক্ষ অনুমোদিত কমলাপুর রেল স্টেশনের লাশ ঘর থেকে সোমবার রাতে ৫ জন ডোমকে আটক করে নিয়ে যায় ডিএমপি ডিবি। ফলে ডোম না থাকায় লাশ পরিবহন, ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ ও অজ্ঞাত পরিচয় মৃত ব্যক্তির সৎকার ইত্যাদি কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক নারী এবং টাঙ্গাইলে এক ব্যক্তি নিহত হয়। পরে ওই লাশ পরিবহন ও মর্গে পাঠাতে ঝক্কি পোহাতে হয় রেলওয়ে পুলিশকে। ডোম না থাকায় বাইরে থেকে লোক নিয়ে রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক জানান, হাতাহাতির ঘটনায় লাশ ঘর থেকে ডোম ঘরের ইনচার্জ মো. জুয়েল, ডোম সাগর ও বিপুসহ ৫জনকে আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এ ঘটনার পর লাশ পরিবহনে ও মর্গে প্রেরণে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘন্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
আরএস/আরআই