মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে কর্মজীবী নারী আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, নারীরা ডিসি (জেলা প্রশাসক) ও পুলিশ সুপার (এসপি) হয়েছেন।
‘ট্রেড ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষ সমতার উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়নে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মালিকদের কিন্তু একটি সংগঠন। তারা ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু আপনাদের অনেক সংগঠন। ফেডারেশন আছে, এখন সবাই মিলে কনফেডারেশন করুন। ঐক্যবদ্ধ হয়ে একক সংগঠনের মাধ্যমে আন্দোলন করুন। তবে কোনো হঠকারিতা করা যাবে না।
সভায় গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া হক।
নারী শ্রমিক কণ্ঠের কনভেনর শিরিন আখতার এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারী সভাপতি ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ফেলো ড. রওনক জাহান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমদ, ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপিত আমিরুল হক আমিন।
এছাড়া সভায় উপস্থিত নারী শ্রমিকদের মধ্যে ট্যানারি খাতের মৌসুমী আক্তার ও গার্মেন্টস খাতের কণিকা আক্তার তাদের বাস্তবতা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, নারীরা ট্রেড ইউনিয়নের নেতা হতে পারেন না। সমাজ তাদের ভাল চোখে দেখে না। এজন্য বিয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। আবার কেউ ইউনিয়ন করতে গেলে বিনা নোটিশে চাকরি চলে যায়। এটাও একটা বড় সমস্যা।
আলোচকরা বলেন, নারীর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। এখন তারা রাস্তায় হেঁটে কাজে যেতে ভয় পান না। এটা একটা পরিবর্তন। কিন্তু অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে আরও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। জেগে উঠতে হবে। এছাড়া শুধু নারী নয়, পুরুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
ইইউডি/এইচএ/