ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পুঠিয়ায় গ্রেফতার ক্লিনিক মালিকের রিমান্ড আবেদন  

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
পুঠিয়ায় গ্রেফতার ক্লিনিক মালিকের রিমান্ড আবেদন  

রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আল-মাহাদী ইসলামি ক্লিনিকের মালিক মুনছুর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

ওই ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ প্রসূতি মৃত্যুর চার মাস পর গ্রেফতার করা হয় ক্লিনিক মালিককে।  

উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

দুপুরে তাকে রাজশাহীর আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। তবে শুনানি না হওয়ায় (৮ নভেম্বর) শুনানির দিন ধার্য হওয়ার কথা রয়েছে।   

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) রাকিবুল হাসান জানান, মুনছুর দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। আদালতের নির্দেশে বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুইয়া জানান, চলতি বছরের ৯ আগস্ট উপজেলা সদরে অবস্থিত আল-মাহাদী ইসলামি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় অপারেশন থিয়াটারেই গর্ভের নবজাতকসহ পান্না বেগম নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ক্লিনিকটিতে অভিযান চালায়। কিন্তু ততক্ষণে ভুয়া চিকিৎসকসহ ক্লিনিক মালিক মুনছুর পালিয়ে যান।  

এ সময় ক্লিনিকের নার্স মারুফা খাতুনকে আটক করে পুলিশ। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা নাহার ক্লিনিকটি সিলগালা করেন। বর্তমানেও ক্লিনিকটি সিলগালা রয়েছে।

ঘটনার একদিন পর ১০ আগস্ট নিহত পান্নার স্বামী বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় ক্লিনিক মালিক, ভুয়া ডাক্তারসহ ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আটক নার্স মারুফাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুঠিয়া থানা পুলিশ।

এর আগে গত ১ অক্টোবর মামলার প্রধান আসামি ভুয়া চিকিৎসক আবদুল করিমকে (৫০) নাটোরে তার শ্বশুড় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এসএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।