মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কামরাঙ্গীচর পশ্চিম আলীনগরের ইসলাম চেয়ারম্যানবাড়ির পাশের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্না ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
ওই এলাকার ২ নম্বর গলিতে স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেনসহ দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন লিপি আক্তার। হাজেরা বেগম ও শামসুদ্দিনের ৬ মেয়ের মধ্যে তৃতীয় সন্তান লিপি আক্তার। তারাও কামরাঙ্গীচর এলাকায় থাকেন।
হাজেরা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ১২ বছর আগে পারিবারিভাবে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে মেয়ে লিপির বিয়ে হয়। বিয়ের বেশ কয়েক বছর তাদের সংসার ভালোভাবে চলছিলো। গত কয়েক বছর ধরে জাহাঙ্গীর জুয়া খেলা ও মাদক আসক্ত হয়। জুয়া ও মাদকের টাকা জন্য লিপিকে প্রায়ই সে মারধর এবং শারীরিক নির্যাতন করতো।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে লিপির দেবর রনি তাদের জানিয়েছে জুয়ার টাকা জন্য তার মেয়ে লিপিকে মারধর করতে করতে দ্বিতীয় তলা বাড়ি থেকে নিচে নামিয়ে আনে। পরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় জাহাঙ্গীর।
এ সময় দগ্ধ লিপির পরিবারের সদস্যরা জাহাঙ্গীর বিচারের দাবি জানান।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বাংলানিউজকে বলেন, দগ্ধ লিপি ৪০ শতাংশ বার্ন নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তবে এ বিষয়ে কামরাঙ্গীচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিন ফকির বাংলানিউজকে বলেন, দগ্ধ লিপির স্বামী জাহাঙ্গীর জুয়ার নেশায় আসক্ত। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সব সময় ঝগড়া লেগেই থাকতো। লিপি তার স্বামিকে ভালো করার অনেক চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার রাতে জুয়া নিয়ে লিপির সঙ্গে জাহাঙ্গীরে ঝগরা হয়। ঝগড়ার জের ধরে লিপি নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলেও জানান ওসি সাহিন ফকির।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এজেডএস/জিপি