বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর লালবাগ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন লালবাগ থানা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে না পারলে কোনো কাজ বা কোনো উন্নয়নই সম্ভব নয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে জনগণের অনেক অভিযোগ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সব অভিযোগই অমূলক নয়। এসব অভিযোগগুলো যাচাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যতো অভিযোগই থাকুক, জনগণ পুলিশের কাছেই যায়। আইনের শাসন নিশ্চিত ও নাগরিক সুবিধাগুলো পুলিশই নিশ্চিত করে থাকে। এ কাজগুলো পুলিশ একা করতে পারবে না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।
পুলিশকে সঠিকভাবে চালাতে সমাজের সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন হলে দূরত্ব কমবে এবং পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টি হবে। এর ফলে থানা কেন্দ্রীক টাউট-বাটপার বা দালালের দৌরাত্ব কমে আসবে। আইন প্রয়োগ যেন জনকল্যাণে হয়। পুলিশের কোনো ভুল হলে ধরিয়ে দেওয়া আপাদের কাজ।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জনগণ আমাদের বন্ধু আর আমরা জনগণের সেবক, এটাই আমাদের পরিচয়। ঢাকা শহরে প্রতিটা ভাড়াটিয়ার তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি, এর কারণে অপরাধ অনেক কমে গেছে। অজ্ঞানপার্টি-ছিনতাইকারী নেই বললেই চলে।
মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে।
২০১৩-১৪ সালে রাজনৈতিক জ্বালাও-পোড়াওয়ের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী দিনেও কেউ জনগণের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়ালে, জ্বালাও-পোড়াও করলে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবেলা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
পিএম/জিপি