ভূমি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ।
বুধবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে বেলার পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ কবীর এ নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনার বিভাগীয় পরিচালক, দিঘি ভরাট কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত খালিশপুর হাউজিং এস্টেট এর মো. জাকির হোসেন মৃধা ও মুজগুন্নী এলাকার শেখ মারুফ হোসেন।
লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৯নং ওয়ার্ডে মুজগুন্নী-খালিশপুর এলাকায় মুজগুন্নী মৌজাস্থ (সিএস-৪৪২, আরএস ২১৩০ ও ৫০৪৭) ঐতিহ্যবাহী খানজাহান আলী দিঘিটি অবস্থিত। এলাকার পানি নিষ্কাশনের অন্যতম আধার হিসেবে এই দিঘিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সুপেয় পানির সংকট থাকায় এলাকার নিম্নবিত্ত পরিবার দৈনন্দিন কাজে এই দিঘির পানি ব্যবহার করে থাকেন। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে দিঘিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সাল থেকে কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি এই দীঘিটি ভরাট করার অপপ্রয়াস শুরু করে। ওই সময় এলাকাবাসী আন্দোলন শুরু করেন। যে কারণে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নোটিশ প্রদান করলে সাময়িকভাবে ভরাটের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি ওই স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা পুনরায় দিঘিটি ভরাটের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) খুলনার সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল বলেন, বুধবারই সংশ্লিষ্টদের বরাবর নোটিশটি প্রেরণ করা হয়েছে। নোটিশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের গৃহীত পদক্ষেপ আগামী ৭ দিনের মধ্যে বেলা বরাবর অবহিত করার অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সংগে দিঘিটি অপরিবর্তিত রেখে তা সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এমআরএম/আরআই