ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

১৪ মাস পর শনাক্ত দুই শ্রমিকের মরদেহ হস্তান্তর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
 ১৪ মাস পর শনাক্ত দুই শ্রমিকের মরদেহ হস্তান্তর টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক এলাকার টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ও ধসে পড়ার ঘটনায় নিহত দু’জনের মরদেহ শনাক্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার ১৪ মাস পর মরদেহ দু’টি আনিসুর রহমান (৩০) ও জহিরুল ইসলামের (৩৭) এবং তারা কারখানাটিরই শ্রমিক ছিলেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এতোদিন তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ছিল।

গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর সিগারেট ও কনডমের ফয়েল তৈরির কারখানাটির মালপত্র রাখার গুদামে বয়লার বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে ৪২ জন নিহত ও অর্ধশত আহত হন।

মর্গের সহকারী সেকেন্দার আলী বাংলানিউজকে জানান, আগেই ময়নাতদন্তের সময় দুই মরদেহ থেকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছিলো চিকিৎসকরা। নিহত দু'জনের মরদেহ শনাক্তের পর বুধবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত আনিসুর রহমান কারখানার অপারেটর ছিলেন। তার বাবার নাম সুলতান গাজী। তিনি টঙ্গীর গোপালপুর এলাকায় থাকতেন।

আনিসুরের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাংলানিউজকে জানান, তার দুই ছেলে। হাসপাতালে স্বজনদের রক্ত ও সন্তাদের মুখের লালা নিয়ে ডিএনএ’র মাধ্যমে পরীক্ষা করে আনিসুরকে শনাক্ত করা হয়েছে।

অন্যজন জহিরুল ইসলাম কারখানার হেলপার ছিলেন। তার বাবা মৃত আবুল হোসেন। স্ত্রী নূর নাহার ও একমাত্র ছেলে নাহিদকে নিয়ে ছিল তার সংসার।

নিহত জহিরুলের মামা ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, স্বজনদের রক্ত ও সন্তাদের মুখের লালা নিয়ে ডিএনএ’র মাধ্যমে পরীক্ষা করে জহিরুলকে শনাক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এজেডএস/এএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।