আটকরা হলেন- গোয়ালপাড়া এলাকার ভূমি অফিসে কর্মরত রফিক, নিহত অন্তরের খালা লুৎফা ও অন্তরের বন্ধু শাহীন। হত্যাকাণ্ডের শিকার অন্তর ইসলাম ঠাকুরগাঁও আকচা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকার নূর ইসলামের ছেলে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহাত আহমেদ আটকের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, অন্তরের খালা লুৎফার সঙ্গে ঠাকুরগাঁও ভূমি অফিসের কর্মচারী গোয়ালপাড়া এলাকার রফিকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। অন্তর বিষয়টি বুঝতে পেড়ে লুৎফা ও রফিকের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও ও মেমোরি কার্ড দিয়ে দেওয়ার শর্তে রফিকের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকার জন্য রফিককে প্রায় চাপ সৃষ্টি করে সে।
গত বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ৫০ হাজার টাকা ধার করে অন্তরকে দেওয়ার জন্য রাজি হয় রফিক। টাকা দেওয়ার আগে অন্তরের বন্ধু শাহীন সঙ্গে হত্যার পরিকল্পনা করে রফিক। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওইদিন রাতেই রফিক টাকা নেওয়ার জন্য অন্তরের ফোনে দেয়। পড়ে শাহীন তার বন্ধু অন্তরকে ডেকে মুন্সিপাড়ার একটি লিচু বাগানে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে। এতে অন্তর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
মৃত্যু নিশ্চিত করে রফিক ও শাহীন সটকে পড়ে। প্রাথমিকভাবে রফিক পরকীয়া ও ৫০ হাজার টাকার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ লিচু বাগান থেকে অন্তরের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এসপি ফারহাত আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশকে নিদের্শ দেন। পরে পুলিশের বিশেষ টিম টেকনোলজি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য ও অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এসপি ফারহাত আহমেদ বলেন, হত্যার মূল রহস্য তাৎক্ষণিক উদঘাটন করতে পেরে পুলিশ দক্ষতা পরিচয় দিয়েছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৭
জিপি