শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রুবেল উপজেলার খলিশাউড়া ইউনিয়নের গৌড়াকান্দা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে বুধবার (১১ অক্টোবর) ভোরে পূর্বধলা থানার বাথরুম থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি রুবেল। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিরঞ্জন দেব বাংলানিউজকে জানান, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের সার্বিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় রুবেলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। রুবেল অত্যন্ত ধুরন্ধর ও ভয়ানক প্রকৃতির আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২৪ আগস্ট দিনগত মধ্য রাতে পূর্বধলায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে কাকন মিয়া (২১) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ আগস্ট সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে মারা যান। এদিকে ছেলে কাকনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই মারা যায় তার বাবা আবুল কাশেম (৭০)। ভুক্তভোগী পরিবারটি বিশকাকুনী ইউনিয়নের গাইলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পরে এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ২৫ আগস্ট পূর্বধলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার তদন্তে নেমে সংশ্লিষ্টতা পেয়ে রুবেলকে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ১১ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ