ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাত বীরশ্রেষ্ঠের নামে ৫টি জেলা স্টেডিয়ামের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।
একইদিন সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ আহাদ আলী সরকার সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় কমিটির অন্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ঝালকাঠি জেলা স্টেডিয়ামকে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্টেডিয়াম, মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামকে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম, কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামকে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন স্টেডিয়াম, শরীয়তপুর জেলা স্টেডিয়ামকে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়াম ও মাগুরা জেলা স্টেডিয়ামকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আছাদুজ্জামান স্টেডিয়াম এবং নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা স্টেডিয়ামকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়াম নামকরণের বিষয়ে অনুমোদন করা হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণের সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এবং চারজন বীরশ্রেষ্ঠের নামে কোন স্টেডিয়াম না থাকায় তাঁদের জন্মস্থান জেলা কিংবা তার নিকটবর্তী জেলায় নির্মিত স্টেডিয়ামের নামকরণ করার পরিপ্রেক্ষিতে ৫টি জেলা স্টেডিয়ামের নামকরণ তাঁদের নামে করার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে।
এছাড়া সভায় জানানো হয় যে, ক্রীড়া প্রতিভা অন্মেষণ কর্মসূচি ২০১০-১১ এর ১ম পর্বের আওতায় দেশের ৪৬টি জেলায় ১৩০টি প্রশিক্ষণ ভেন্যুর মাধ্যমে ২০টি ইভেন্টে ২,০৩৬ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি জেলা থেকে সর্বাধিক ৫ জন করে ২০টি ইভেন্টের জন্য ৬৮০ জনকে পরবর্তী প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
আগামী ডিসেম্বর থেকে বাছাইকৃতদের নিয়ে আবাসিক ক্যাম্পের মাধ্যমে আরো উন্নতমানের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্ত্বাবধানে বিগত ফেব্রুয়ারি ২০১১ থেকে ক্রীড়া প্রতিভা অন্মেষণ কর্মসূচি শুরু করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১১