১৯০৩ সালের এই দিনে ফরিদপুর শহরতলীর কৈজুরী ইউনিয়নের ছায়াঢাকা পাখি ডাকা নিঝুম পাড়া গাঁ তাম্বুলখানা গ্রামে নানা বাড়িতে জন্ম গ্রহন করেন জসীম উদ্দীন। কবির পিতার নাম আনছার উদ্দীন, মাতার নাম আমেনা খাতুন।
কবির ৪ ছেলে কামাল আনোয়ার, ড. জামাল আনোয়ার, ফিরোজ আনোয়ার ও খুরশীদ আনোয়ার এবং ২ মেয়ে হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ ও আসমা ইলাহী। সন্তানরা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বনামধন্য। বড় মেয়ে হাসনার জামাতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহম্মেদ ও ছোট মেয়ের জামাতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
কবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে। সেখানে প্রাধমিক শেষ করে তিনি ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে ম্যাট্রিক, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে বি এ পাস করেন। তিনি ১৯৩১ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে এমএ পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন কবি। ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন কবি জসীম উদ্দীন। পল্লী কবি জসীম উদ্দীন বাল্য বয়স থেকেই কাব্য চর্চা শুরু করেন। কবির ১৪ বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় তৎকালীন কল্লোল পত্রিকায় তার একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাখালী। এরপর তার ৪৫ টি বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কবি ১৯৭৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি, ১৯৭৬ সালে ২১ শে পদকে ভূষিত হন। এছাড়া পল্লী কবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে, নকঁশী কাথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাশিঁ, রাখালি, বালুচর প্রভৃতি।
জসীম উদ্দীন পল্লীর মানুষের সংগ্রামী জীবন-জীবিকার কথা সাহিত্যের পাতায় তুলে ধরে তিনি বাঙলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে উঁচু করে রেখে গেছেন। ১ জানুয়ারি গ্রাম বাংলার কবি জসীম উদ্দীনের ১১৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন কবির সামাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবে। অনুষ্ঠিত হবে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এমজেএফ