মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মহানগরীর অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
এসময় মন্ত্রী বলেন, গুণীজনদের সম্মান না করলে গুণীজন তৈরি হয় না। তাই গুণীজনদের সম্মান করতে হবে সবার। একটি দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি সে দেশের পরিচয় বহন করে। শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা মানুষের মনকে গতিশীল করে এবং জীবনকে পাল্টে দেয়।
তিনি বলেন, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা ও প্রতিভা বিকাশে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মো. আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গণপূর্ত বিভাগ খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জি এম এম কামাল পাশা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জেলা কালচারাল অফিসার সুজিত কুমার সাহা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা শিল্পকলা একাডেমির এহডক কমিটির সদস্য মকবুল হোসেন মিন্টু ও অধ্যাপক আলমগীর কবির। গুণীজন ব্যক্তিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, মোখলেসুর রহমান বাবলু ও বেবী খানম।
২০১৬ সালে কন্ঠ সংগীতে প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, নাট্যকলায় বীনা মজুমদার, লোক সংস্কৃতিতে সুশান্ত ব্যানার্জী, আবৃত্তিতে সাহিদা আক্তার পুতুল (মরণোত্তর) ও নৃত্যকলায় মো. মোস্তাক সেলিম পপলু।
২০১৭ সালে কন্ঠ সংগীতে এ বি এম শওকত আলী, নাট্যকলায় মায়া বিশ্বাস, সৃজনশীল সংস্কৃতি গবেষক সুশান্ত সরকার, লোকসংস্কৃতিতে বেবী খানম ও আঞ্চলিক সৃজনশীল সংগঠন খুলনা নাট্য নিকেতনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
পরে মন্ত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ৯ গুণী শিল্পী ও একটি সংগঠনের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র, ১০ হাজার টাকার চেক ও মেডেল তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এমআরএম/আরবি/