ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নাম না জানা রোগে আক্রান্ত শিশু ফাহাদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
নাম না জানা রোগে আক্রান্ত শিশু ফাহাদ নাম না জানা রোগে আক্রান্ত শিশু ফাহাদের পা দু’টো গোটায় ঢেকে গেছে। ছবি: বাংলানিউজ

টাঙ্গাইল: ১ বছর ৫ মাস বয়সী এই শিশুটির নাম ফাহাদ। গত ১৫ মাস ধরে এক অজানা রোগে আক্রান্ত সে। তার মাথা, মুখ, হাত, গলা, কান, বুকসহ পুরো শরীরে কালোজিরার মত গোটা। বিশেষ করে পা দু’টো একেবারে গোটায় ঢেকে গেছে।

ফাহাদের বয়স যখন দুই মাস তখন থেকেই এ রোগ দেখা দেয় তার শরীরে। দিনের বেশিরভাগ সময় ব্যথায় চিৎকার করে সে।

কিন্তু দরিদ্র বাবা-মার সাধ্য নেই ভাল চিকিৎসা করানোর। চিকিৎসকরাও রোগটি নির্ণয় করতে না পারায় কোনো কার্যকরী ওষুধও দিতে পারছেন না।

শিশু ফাহাদ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার আইসড়া গ্রামের শাহীন মিয়া ও মেরিনা খাতুন দম্পতির একমাত্র সন্তান। বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের কোদালিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন তারা।

ফাহাদের বাবা শাহীন মিয়া জানান, ফাহাদের বয়স যখন দুই মাস, তখন থেকেই তার শরীরে দেখা যায় এ রোগের উপসর্গ। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করিয়েও কোনো উন্নতি হয়নি। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ ডা. সাদ্দাত হোসেনের কাছে ৪/৫ মাস, তারপর চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুল ইসলামের কাছে ৫/৬ মাস চিকিৎসা করানো হয়। তারপরও কোনো উন্নতি না হওয়ায় ফাহাদকে টাঙ্গাইলের মধুপুর জলছত্র নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা শিশুটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
নাম না জানা রোগে আক্রান্ত শিশু ফাহাদ।  ছবি: বাংলানিউজ
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম ও যৌন বিভাগের চিকিৎসক ডা. জামাল উদ্দিনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানানো হয়, মাংসের ৩ সেন্টিমিটার নিচ থেকে এ গোটাগুলো জন্ম নিচ্ছে। কিন্তু তারা এ রোগের কোনো নাম বলতে পারেননি।
 
ফাহাদের বাবা শাহীন মিয়া একজন অটোরিকশা চালক। একমাত্র ছেলের চিকিৎসার জন্য উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ৫ শতাংশ জমিও বিক্রি করেছেন তিনি। তাতেও কোনো লাভ হয়নি।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ও শিশু ফাহাদের চিকিৎসক ডা. খন্দকার সাদ্দাত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এটি ক্রনিক ননস্পেসিফিক ডার্মাটাইটিস টাইপের রোগ। দীর্ঘদিন ধরে এ রোগের চিকিৎসা করতে হয়। তবে উন্নততর পদ্ধতিতে বায়োপসি করালে হয়তো রোগটি চিহ্নিত হতে পারে। যা উন্নত দেশগুলোতে সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।