ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঝাল-মিষ্টি-টক আচার দেখে জিভে জল এসে যায়

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
ঝাল-মিষ্টি-টক আচার দেখে জিভে জল এসে যায় আচার বিক্রিতে ব্যস্ত দোকান মালিক/ ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: ঝাল-মিষ্টি-টক আচারের ঘ্রাণ হালকা বাতাসে দোকানের ভেতর দিয়ে বয়ে গেলো। এ ঘ্রাণ ছড়িয়েছে মেলার এক প্রান্তে। আচারের মতো মুখরোচক খাবাব দেখে জিভে জলে ভরে যাচ্ছে।

শনিবার (১০ মার্চ) বিকেলে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম সংলগ্ন মমতাজ স্টেডিয়ামে আয়োজিত ১১তম মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গেলে বিভিন্ন রকমের আচার নজর কাড়ে।

মেলার অনেকগুলো দোকানের মধ্যে একটি দোকানের সামনে নারীদের ভিড় দেখা গেলো।

সেখানে বেশ কিছু সংখ্যক পুরুষকেও হরেক পদের আচারের স্বাদ আস্বাদন করছে। দোকান মালিক আচার বিক্রিতে তখন ব্যস্ত। প্রায় বিশ পদের আচারের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে দোকানটিতে।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় আচারের দোকানের সামনের অংশটার টেবিল ঘিরে দেওয়া হয়েছে রঙ বেরঙয়ের কাপড়ে দিয়ে। তার ওপর শোভা পাচ্ছে লাল রংয়ের বিভিন্ন মাপের গামলা। ভেতরে রাখা হরেক পদের নানা স্বাদের আচার।
 
দোকানের ভেতরে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আচার ভর্তি কাচের বয়াম। এভাবে আচারের পসরা নিয়ে বসেছেন দোকান মালিক শহিদুল ইসলাম। রংপুরের ঐতিহ্যবাহী আচার নামে পরিচিত ‘শিউলি আচার’ খ্যাত হরেক পদের আচার খেতেও নাকি বেশ সুস্বাদু –এমনটাই জানালেন একাধিক ক্রেতা সাধারণ।
 
শিউলি আচারের দোকানে তেঁতুল, বড়ই, আম, চালতা, রসুন, আমলকি, জলপাই, আমফলসি, হরতকি, ত্রিফল, জামরুল, কদবেলসহ যাবতীয় ঝাল-মিষ্টি-টক আচার পাওয়া যাচ্ছে দোকানে।
 
ক্রেতা ফাহমিদা আকতার বাংলানিউজকে জানান, বাড়িতে এসব আচার তৈরি করা যায়। কিন্তু এতো পদের আচার তৈরি করতে গেলে অনেক কিছুর প্রয়োজন। যে কারণে বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু আচার দেখলো তো আর খাওয়ার লোভ সামলানো যায় না। তাই কয়েক পদের আচার কেনা যোগ করেন এ নারী ক্রেতা।
 
আফরোজা বেগম, ফারজানা আকতার, সাবিনা ইয়াসিন, জোবেদা হোসেনসহ একাধিক নারী ক্রেতা আচার কেনা সম্পর্কে বাংলানিউজকে একই প্রতিক্রিয়া জানান।
 
তবে হারুন- উর- রশিদ, আবু জাফরসহ বেশ কয়েকজন পুরুষ ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, যদিও নারীদের কাছ আচার বেশি লোভনীয়। কিন্তু মেলায় ঝাল-মিষ্টি-টক আচার দেখে জিভে জল এসে যায়। তাছাড়া বাড়িতে এতো গুলো আচার একসঙ্গে বানানো সম্ভব না। তাই প্রথমে নিজে কিছু খেলাম। বাড়ির জন্য কয়েক আইটেমের আচার কিনলাম বলেও জানান তারা।
 
বেচাবিক্রির ফাঁকে শিউলি আচারের মালিক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, খোলা প্রতিকেজি আচার ৩০০-৪০০ টাকা ও কাঁচের বয়ামের আচার ২৫০-৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে বিকেল থেকে বিক্রি শুরু হয়ে চলে রাত পর্যন্ত।
 
তিনি আরও জানান, মেলা শুরুর দিকে তেমন একটা বেচাকেনা ছিল না। কিন্তু একটি করে দিন অতিবাহিত হচ্ছে আর বিকিকিনি বাড়ছে। শেষদিকে গিয়ে আরও ভালো বিকিকিনি হবে বলেও যোগ করেন শহিদুল।
 
এর আগে, রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির আয়োজনে এবং  ঢাকার বেনারসি গ্লোবাল ইভেন্টস লিমিটেডের সার্বিক সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
এমবিএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।