এ পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে ‘ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক ফোরলেন উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের গৃহীত এ প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদী এ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৯৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। অধিগ্রহণ হবে ৩০২ দশমিক ৭০ একর ভূমি। ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা, বরিশাল ও পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় এ ভূমি অধিগ্রহণ করা হলে পরবর্তীতে বৈদেশিক সহায়তা অথবা সরকারি অর্থায়নে চার লেন নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে ফরিদপুরের ওপর দিয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত যাতায়াত করে ঢাকাসহ মধ্য-পূর্বাঞ্চলের যাত্রীরা। আর যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু এবং পদ্মার ওপর লালন শাহ সেতুর ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষও কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী দিয়ে এসে ফরিদপুর-বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত যাতায়াত করে।
সেজন্য ফরিদপুর জেলা সদর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৩২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক এবং ভাঙ্গা থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত ২০৪ দশমিক ২৪ কিলোমিটার মহাসড়কের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই সরকার এই মহাসড়ক চার লেনে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে, যাতে যানবাহন ও মালামাল পরিবহনের যাত্রা নির্বিঘ্ন হয়।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের উপ-প্রধান (সড়ক পরিবহন উইং) এ এইচ এম কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে সওজ। আমরা তাদের প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভার ডেট দেবো। ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে। এই কাজটা হয়ে গেলে ফোর লেন নির্মাণে বৈদেশিক সহায়তা নেওয়া হবে।
কামরুজ্জামান মনে করেন, এই সড়কটি চার লেন হয়ে গেলে এক কথায় উত্তরবঙ্গ, যশোর ও ফরিদপুরের সঙ্গে বরিশাল ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা ও পর্যটন স্পট কুয়াকাটার সরাসরি ও নির্বিঘ্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এমআইএস/এইচএ/