সোমবার (১২ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টায় বাজারের বকুলতলা রোডে বাসু সৈয়ালের মুদি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাজারের ব্যবসায়ী মুকবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের বকুলতলা রোডে বাসুর দোকানে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্তেই অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন চেষ্টা করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরে দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে সকাল ৬টায় তারা ঘটনাস্থলে এসে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে ২৫টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া বেশ কিছু ছোট দোকানের আংশিকও পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন-নুরুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, বোরহান, হাবীব, হাসান খান, হারুন পাটওয়ারী, আমিন মাতাব্বর, মোক্তার আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম, মুকবুল হোসেন, শাহজাহান গোলদার, মনির জমাদার, মিজান জমাদার, মান্নান গাজী, আহম্মদ উল্যাহ, ফরিদ জমাদার, বাসু সৈয়াল, হাবিবুর রহমান, রফিক জামাদার, আব্দুল মান্নান, শাহাদাত হাওলাদার, শামছুল হক পাটওয়ারী, হাবিব গাজী, সফিকুর রহমান গাজী ও মো. কামরুল ইসলাম। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশিরভাগই সব্জির আড়ৎ, ডিমের আড়ৎ, মুদি ও কনফেকশনারী।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস (উত্তর) স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফারুক আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ১০ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলের কাছাকাছি উপস্থিত হই। কিন্তু বাজারে গাড়ি ঢোকার মত অবস্থা না থাকায় কিছুটা দেরি হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরের পুরানবাজার স্টেশনসহ চারটি ইউনিট কাজ করে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
আরএ