ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, বাল্যবিয়ে কমেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
‘চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, বাল্যবিয়ে কমেছে’ সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশে বাল্যবিয়ের পরিমাণ কমেছে বলে দাবি করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে দেশে বাল্যবিয়ের সংখ্যা বেড়েছে।

সোমবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৫ সালের মাল্টিপল ক্লাস্টার সার্ভে অনুযায়ী বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের পরিমাণ কমেছে।

জরিপে বলা হয় ২০০৬ সালে দেশে বাল্যবিয়ের সংখ্যা ছিলো ৬৪ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) ২০১৭ সালের জরিপে বলা হয়েছে দেশে বর্তমানে বাল্যবিয়ের সংখ্যা ৪৭ শতাংশ (১৮ বছরের নিচে), অন্যদিকে ১৫ বছরের নিচে বিয়ের সংখ্যা ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।

একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে চুমকি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের পরিমাণ কমেছে। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে দেশে বাল্যয়ের সংখ্যা বেড়েছে। ’

তিনি বলেন, সরকার মনে করে বাল্যবিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম অন্তরায় এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে গার্ল সামিটে ঘোষণা করে এসেছেন ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ১৫ বছরের নিচে বিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

সরকার ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনসহ প্রশাসনের সব স্তরে বাল্যবিয়ের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।

সার্বিক নারী উন্নয়ন সূচকে ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৪তম জানিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের মতো বিশ্বের কোনো দেশ নারী উন্নয়নে এতোটা এগোতে পারেনি।

সম্প্রতি ঢাকায় এক কলেজছাত্রী হেনস্তার শিকারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব যখন বাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে। আমরা যখন আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময়ে ৭ মার্চ এক ছাত্রীকে রাজধানীর বাংলামোটরে লাঞ্ছিত করার ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি। নারী দিবসের আগে এরকম একটি ঘটনা আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি এবং প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আশা করছি প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

বাংলাদপশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এমআইএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।