সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরেও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
দেশের ৩২৭টি পৌরসভার সব ধরনের সেবা বন্ধ রেখে গত শনিবার (১০ মার্চ) থেকে অনশন কর্মসূচি পালন করছে পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ন্যায্য দাবির জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। সোমবার আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি মন্ত্রী-সচিব অথবা তাদের কোনো প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের সামনে এসে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে।
সভাপতি মো. আব্দুল আলিম মোল্যা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের নির্বাহী বিভাগের ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থানীয় সরকার একটি। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৯(১) এ প্রশাসনিক একাংশ হিসেবে স্বীকৃত স্থানীয় শাসন এর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৌরসভা অন্যতম। ৫৯(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কর্মরত কর্মচারীদের কথা উল্লেখ রয়েছে তারা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। পৌরসভা চাকরির বিধিমালা ২০০৯ এর ৫ ধারা অনুযায়ী পৌরসভার চাকরিকে সরকারি সার্ভিস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। অথচ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, দেশের ২২৬টি পৌরসভায় ২ থেকে ৫৮ মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা বকেয়া থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যারা অবসরে গেছেন তাদেরও অবসরভাতা বকেয়া রয়েছে। একমাত্র রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা দিলেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ